দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে রাজধানীতে দুদক কর্মকর্তা পরিচয় প্রদানকারী নিপা বেগম এবং মো. দ্বীন ইসলাম নামের জালিয়াত চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে এমন এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে জানিয়ে উক্ত মামলা থেকে বাঁচানোর আশ্বাস দিয়ে প্রতারক চক্র আর্থিক সুবিধা দাবি এবং একটি ভুয়া এজাহারের কপি ইমো মেসেঞ্জারে পাঠান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (টোল ফ্রি হটলাইন- ১০৬) কল করে সহযোগিতা চান। পরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক ও উপ-সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
আটকের সময় তাদের কাছ থেকে যথাক্রমে একটি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী পরিচয়ের ভুয়া আইডি কার্ড জব্দ কর হয়। তাদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, দিনাজপুরের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ে দুদক টিম জানতে পারে, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট থেকে রাণীরঘাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্তকরণসহ মেরামত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরেজমিন অভিযানে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং মেরামত কার্যক্রম খতিয়ে দেখে। দুদকের পক্ষ থেকে নির্বাহী প্রকৌশলীকে উক্ত মেরামত ও প্রশস্তকরণ কাজে যথাযথ মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করার অভিযোগ এবং গৃহ উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা প্রকৃত গৃহহীনদের না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে যথাক্রমে প্রধান কার্যালয় এবং কুষ্টিয়ায় কার্যালয় থেকে দুটি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।