পর্তুগালে নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন


দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। এটি আইবেরীয় উপদ্বীপের পশ্চিম অংশে, স্পেনের দক্ষিণে ও পশ্চিমে অবস্থিত। আটলান্টিক মহাসাগরে দেশটির দীর্ঘ উপকূল রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপপুঞ্জ পর্তুগালের নিয়ন্ত্রণাধীন। এগুলো হলো- আসোরেস দ্বীপপুঞ্জ এবং মাদেইরা দ্বীপপুঞ্জ, যারা উভয়েই আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত। লিসবন পর্তুগালের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।

বর্তমানে ইউরোপে পর্তুগালের আরেক পরিচিতি হলো ইমিগ্রেশন ফ্রেন্ডলি কান্ট্রি হিসেবে। দেশটি অভিবাসীদের জন্য একের পর এক সুখবর দিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরে। সর্বশেষ যা এসেছে সেটা হলো, তাদের নাগরিকত্ব আইনের কিছু ধারার পরিবর্তন। পরিবর্তিত নাগরিকত্ব আইনের কিছু অংশ তুলো ধরা হলো

প্রথমত, এখন থেকে পর্তুগালে কোনো সন্তানের জন্ম হলে তাকে জন্মসূত্রে পর্তুগিজ হিসেবে গণ্য করা হবে, যা আগে বাবা-মা দুজনের একজন সর্বনিম্ন দুই বছর যাবৎ বৈধভাবে বসবাস করলে করা হতো।

দ্বিতীয়ত, যদি বাবা-মা দুজনেই অবৈধভাবে পর্তুগালে বসবাস করে এবং সন্তান জন্ম দেয় তাহলে তার সন্তান জন্মসূত্রে পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পাবে, সাথে বাবা-মা সন্তানের মাধ্যমে বৈধতা দেয়া হবে, ৫ বছর পরে বাবা-মা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে।

যারা বৈধভাবে রেসিডেন্স পারমিট নিয়ে পর্তুগাল অভিবাসী হিসেবে আছেন ৫ বছরের বেশি সময় ধরে তারা ন্যাচারালাইজেশনের মাধ্যমে পর্তুগিজ নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারবেন। এবং তাদের পর্তুগিজ ভাষায় দক্ষতার সার্টিফিকেটের দরকার নেই, অর্থাৎ পর্তুগিজ ভাষার সনদের (A1-A2) প্রয়োজন নেই।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *