প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার ভোরে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। প্রথম দিকে বিমান হামলার কথা বলা হলেও মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোরে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোলেইমানিকে হত্যায় ড্রোন থেকে হামলা করা হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ইরানের অভিজাত বাহিনী আইআরজিসির কুদস্ ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল সোলেইমানি এক হামলায় নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক কর্মকর্তা সিএএনকে বলেছেন, হামলাটি করা হয় ড্রোনের মাধ্যমে।
ইরাকের সশস্ত্র শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ) এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় তাদের বাহিনীর উপপ্রধান আবু মাহদি আল মুহাদ্দিসও শহীদ হয়েছেন। মুহাদ্দিস ছিলেন জেনারেল সোলেইমানির বিশ্বস্ত এবং তার উপদেষ্টা। হামলার সময় দুজন একই গাড়িতে ছিলেন।
শুক্রবার ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় জেনারেল সোলেইমানি নিহত হন। তিনি খামেনীর সবচেয়ে আস্থাভাজন জেনারেলদের একজন ছিলেন। ১৯৯৮ সালে বিপ্লবী গার্ডের প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর অনেকটা নিভৃতে তিনি কাজ করতে থাকেন।
তার কৌশলে লেবাননের হিজবুল্লাহ, সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ বাহিনী এবং ইরাকের শিয়াপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জোরদার সম্পর্ক গড়ে ওঠে ইরানের। এর ফলে সীমানার বাইরে মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত অঞ্চলে ইরানের প্রভাব-বলয় গড়ে ওঠে। যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলসহ তেহরানের বিরুদ্ধ-শক্তির।
সোলেইমানি হত্যার পর প্রতিশোধের হুংকার ছেড়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেছেন, ‘বিশ্বের কুচক্রি ও শয়তান রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে অনেক বছর ধরে একনিষ্ঠ ও বীরোচিত জিহাদ চালিয়ে গেছেন সোলেইমানি। যে অপরাধীরা তাদের নোংরা হাত দিয়ে গতরাতে জেনারেল সোলেইমানির রক্ত ঝরিয়েছে তাদের জন্য ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।’