ব্যবহৃত প্লাস্টিক জমা দিলে টাকা ফেরত


দেশের পর্যটন এলাকায় পরিবেশ দূষণ বন্ধে ও জনগণের মাঝে পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে পর্যটকরা ব্যবহৃত প্লাস্টিক জমা দিলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি ভিত্তিক ট্যুরিস্ট গ্রুপ ‘ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশ’।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ট্যুরে থাকাকালীন প্লাস্টিকের একটি মোড়কজাত প্যাকেট জমা দিলে এক টাকা, দেড় লিটার পর্যন্ত পানির বোতল দুই টাকা, দুই লিটারের পানির বোতল তিন টাকা এবং পাঁচ লিটারের পানির বোতলে পাঁচ টাকা ফেরত দেয়া হবে।

ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেফায়েত শাকিল বলেন, ‘পর্যটন সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ বাংলাদেশ। কিন্তু আমরা দেখছি, অসাবধানতার কারণে পর্যটকদের ফেলা বিভিন্ন উচ্ছিষ্টে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। প্লাস্টিকে চাপা পড়ে বিলীন হচ্ছে সেন্টমার্টিনের কোরাল। একইভাবে নষ্ট হচ্ছে সমুদ্র ও পাহাড়ের জীববৈচিত্রও। যার ফলে পর্যটন ও পরিবেশ একে অপরের বিরোধী হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অথচ পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার মাধ্যমে দেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে আরও সম্ভাবনাময় করা সুযোগ রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, পর্যটকদের মাঝে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলোসহ সারা দেশের পরিবেশ রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, পর্যটকের হাত ধরে জন্ম হয়েছে বিশ্ব সংস্কৃতির। পর্যটন কেন্দ্র এমন একটি স্থান যেখানে পুরো দেশের সচেতন ও শিক্ষিত মানুষগুলোর মিলনমেলা বসে। তাই আমরা মনে করি, পর্যটকদের মধ্যে যদি প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় সচেতনতাবোধ জাগ্রত করা যায়, তার ফল ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে। প্রতিটি পর্যটকের হাত ধরে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা পৌঁছে যাবে সবখানে।’

ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশের পরিচালক (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন আরিফ বলেন, ‘শুধু প্রকৃতি রক্ষা নয় ন্যূনতম খরচে পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশ বদ্ধ পরিকর। আমরা আমাদের ট্যুরিস্টদের অন্যদের চেয়ে একটু ব্যতিক্রম বিনোদন দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এবং ট্যুরিজমের পাশাপাশি পৌঁছে দেব প্রকৃতি সংরক্ষণের ম্যাসেজ।’

মিটিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- ট্যুর অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের পরিচালক বিল্লাল হোসেন সাগর, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক তানজিনা হোসেন চৈতী, জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আহসান জোবায়ের।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *