বিদেশগামী নারী কর্মীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত


১৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একাধিকবার এটি খোলার কথা বলা হলেও তেমন অগ্রগতি দেখা যায়নি।

প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, নির্ধারিত মূল্যে প্রবাসী কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়া নিশ্চিত না করে বাজার খোলার পক্ষে নন তিনি। নতুন করে কোনো চক্র যাতে গড়ে না ওঠে, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস (আরবিএম) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা বলেন, বিদেশগামী নারী কর্মীদের সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত বা স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই। তাই নারী কর্মীদের অভিবাসনে অধিকতর সুরক্ষা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী ইমরান বলেন, আমাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আমার শ্রমিক ভাইয়েরা নির্ধারিত মূল্যে কীভাবে যেতে পারে। এটা হলো আমার প্রাইম টার্গেট। এই জায়গা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমি কিন্তু মার্কেট খুলতে রাজি না। এটা না হলে কিন্তু সব দায় আমার ওপর আসবে, আমার সরকারের ওপর আসবে। শ্রমিকদের ওপর যে অতিরিক্ত টাকার চাপ ফেলা হয়, এটা যদি আমি গ্রহণ করি, তাহলে কিন্তু তাদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।

তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এ নিয়ে কাজ করছে। আগের মতো ৪ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ করে কর্মী সে দেশে যাবেন আর জঙ্গলে লুকিয়ে বেড়াবেন, ওই ধরনের কোনো চুক্তি করা হবে না। সরকারনির্ধারিত মূল্যেই কর্মীরা বিদেশ যাবেন।

নারী কর্মীদের নির্যাতনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, নারী শ্রমিকদের নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত মাসে কিন্তু অভিযোগ কমে এসেছে। নারীরাও আগের মতো ফিরছেন না। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত বছর ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। আগের বছরের তুলনায় এটি ১৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।

এসময় বিএমইটির মহাপরিচালক শামসুল আলম ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *