তৃতীয় সমাবর্তনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি)। মঙ্গলবার দিনভর সমাবর্তন প্রত্যাশী গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণায় মুখরিত ছিল শাবি ক্যাম্পাস।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বহু প্রত্যাশিত এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।
ইতিমধ্যে বর্ণিল সাজে সেজেছে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন জায়গাগুলো। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে সাজানো হয়েছে রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জায়। মূল ফটক, এক কিলো, গোলচত্বর, বঙ্গবন্ধু চত্বর, চেতনা একাত্তর, বিভিন্ন একাডেমিক ভবনগুলো সেজেছে নানান সাজে।
সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কথাসাহিত্য অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
সমাবর্তনে রেজিস্ট্রেশন করা কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০১-০২ সেশনের শিক্ষার্থী গৌরব রায় বলেন, দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে এসে বন্ধু-বান্ধব ও সিনিয়র-জুনিয়রদের সাথে দেখা হয়ে অনেক ভালো লাগছে। আমাদের ক্যাম্পাসে আগের তুলনায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে এটি একটি স্মৃতি হয়ে থাকবে।
সমাবর্তন প্রত্যাশী রসায়ন বিভাগের ২০০৪-০৫ সেশনের শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান বলেন, অনেক বছর পরে সমাবর্তন হলেও এটি আমাদের জন্য অনেক আবেগের বিষয়। পরিবারকে সাথে নিয়ে এসেছি। অনেক বন্ধু বান্ধবী দেশে বিদেশে আছে। সমাবর্তনের কারণে সবার সাথে দেখা হবে। এটি জীবনের গল্পে আরেকটি গল্প।
সমাজকর্ম বিভাগের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের সালমা বলেন, এর আগে ২য় সমাবর্তনেও আমি অংশ নিয়েছি। এবারও সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পরিবারকে সাথে নিয়ে সমাবর্তনে এসেছি। পরিবারের সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারছি বলে খুবই ভালো লাগতেছে।
এবারের সমাবর্তনে মোট ছয় হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর মধ্যে স্নাতক চার হাজার ৬১৭ জন, স্নাতকোত্তর এক হাজার ১২৭, পিএইচডি দুজন, এমবিবিএস ৮৭৮, এমএস ও এমডি ডিগ্রিধারী ছয়জন এবং নার্সিংয়ের ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী ১২ শিক্ষার্থী ও স্নাতকোত্তরে আট শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। অন্যদিকে অনুষদে প্রথম হওয়া মোট ৮৯ জন শিক্ষার্থীকে ‘ভাইস চ্যান্সেলর’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।