মিরপুর থানার সেই এসআই কারাগারে


বিয়ের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রকিব খান বাপ্পির জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) আব্দুর রকিব খান বাপ্পিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় শেরেবাংলা নগর থানার দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে, তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে জামিন শুনানির জন্য ৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক তরুণী। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগী ওই তরুণী রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন। মামলা নম্বর-২।

মামলায় ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠায় পুলিশ।

অভিযুক্ত আব্দুর রকিব খান বাপ্পি মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তারাইলে।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, ‘বাপ্পি এসআই হিসেবে যোগ দেন আড়াই বছর আগে। কিন্তু আমাদের মধ্যকার প্রেমের সম্পর্ক গত পাঁচ বছর ধরে। এর মধ্যে তিনি একাধিকবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি বিয়ে না করার জন্য টালবাহানা করছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তিনি আগারগাঁও এলাকার একটি বাসায় ডাকেন। সেখানে গেলে তিনি কিছু গোপন ভিডিও দেখান এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। সেখান থেকে আমি সোজা শেরেবাংলা নগর থানায় আসি। দিনভর তার পরিবার ও পুলিশের পক্ষ থেকে সমঝোতার চেষ্টা করে। রাতে আমি মামলা করেছি।’

মামলা দায়ের হওয়ার পর অভিযুক্তকে আটক করে শেরেবাংলা থানা পুলিশ।