বন্ধ হচ্ছে না রিজেন্ট এয়ারওয়েজ : সিইও


‘বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন প্রতিবেদনকেউদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইন্স রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কর্মকর্তারা। সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ বলেন, ‘ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ১০ বছরে পদার্পণ করেছে রিজেন্ট এয়ার। রিজেন্টের বহরে ২০২০ সালে আরও চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ যুক্ত হচ্ছে। এ বছর উড়োজাহাজ বহর, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং আকাশে ও মাটিতে সেবা উন্নয়নের মাধ্যমে নিজস্ব অবস্থান আরও সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করছে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।’

বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বেশকিছু প্রশ্নের জবাব দেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স রিজেন্ট এয়ারওয়েজ সম্পর্কে তাদের কান্ট্রি ম্যানেজারদের পাঠানো একটি চিঠিতে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। তারা চুক্তি ভঙ্গ করেছে। এ কাজটি করা তাদের মোটেও ঠিক হয়নি। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা বিমানের বিরুদ্ধে কোনো লিগ্যাল অ্যাকশনে না গেলেও সেটিকে অনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করছি।’

গত ১০ নভেম্বর কর্মকর্তাদের সফল পরিচালনার ১০ বছরে পদার্পণ করেছে এয়ারলাইন্সটি। এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের পক্ষ থেকে তাদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সেখানে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা হানিফ জাকারিয়া এবং পরিচালক বিক্রয় ও বিপণন সোহেল মজিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ইমরান আসিফ বলেন, ‘২০২০ সালে আমাদের সামনে একটি সুস্পষ্ট ভিশন রয়েছে। সেটি হলো- বরাবরের মতো নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য এবং সর্বাধিক পছন্দনীয় বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা।’

তিনি জানান, চলতি ২০২০ সালে রিজেন্টের বহরে আরও চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি আট উড়োজাহাজের একটি আধুনিক বহর নিয়ে নিজস্ব নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের পাশাপাশি বর্তমান গন্তব্যগুলোতে উড্ডয়ন সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে রিজেন্টের।

তিনি বলেন, ‘নিজস্ব সেবার উন্নয়নে এ বছরও রিজেন্ট তাদের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে এবং গ্রাহকদের জন্য আরও মূল্য সংযোজন নিয়ে কাজ করবে। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে প্রথম ওয়াই-ফাইভিত্তিক ইনফ্লাইট বিনোদন ব্যবস্থা, রিজেন্ট স্ক্রিন্স প্রবর্তন করতে যাচ্ছে। এর ফলে যাত্রীরা তাদের ব্যক্তিগত নোটবুক, ট্যাবলেট বা মোবাইলফোনে ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে সরাসরি বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রাম উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।’

নিরাপত্তার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সিইও বলেন, ‘আমাদের কাছে এটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং কোনো অবস্থাতেই আমরা এ বিষয়টিতে কোনো ছাড় দিতে রাজি নই। নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা বিষয়ে কোনো ঝুঁকি অনুমান করার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা উড়োজাহাজটিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গ্রাউন্ড করতে দ্বিধা করিনি।’

‘রিজেন্টের ক্ষেত্রে অদ্যাবধি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বড় কোনো অঘটন এবং যাত্রী ও উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন কোনো দুর্ঘটনার রেকর্ড নেই’, যোগ করেন তিনি।

রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বর্তমানে দেশের ভেতর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং দেশের বাইরে কলকাতা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, মাস্কাট এবং দোহায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে।