সর্বোচ্চ ৫০ টাকার কলম কেনা হয়েছে, দাবি অধ্যাপক সামাদির


দুটি কলম কেনায় অনিয়ম সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর অভিযুক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদি দাবি করেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের মধ্যে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকার কলম কেনা হয়েছে। আর যে কলমের কথা সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে আদতে তার কোনো অস্তিত্ব নেই। এমন কোনো কলম কেনা হয়নি।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের মধ্য লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি।

গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) ‘প্রকল্পের টাকায় অধ্যাপকের বিলাসিতা, ১১ হাজারে ক্রয় দুটি কলম’ শিরোনামে জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর বেশ কিছু গণমাধ্যমেও এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

ড. সফিকুন্নবী সামাদি বলেন, গণমাধ্যমে ১১ হাজার টাকা মূল্যে দুটি কলম ক্রয়ের একটি কাল্পনিক গল্প বলা হয়েছে। বস্তুত এ ধরনের কোনো কলম ক্রয় করা হয়নি। সুতারং এর খরচ দেখানোর কোনো প্রশ্নই আসে না। তিনি কলমের ক্যাশ মেমো বা ভাউচারের কপি প্রতিবেদককে উপস্থাপনের অনুরোধ করেন।

তিনি দাবি করেন, হেকেপ প্রজেক্ট-৩৬০৭ এর আওতায় যে ব্যয় হয়েছে তা হেকেপ কর্তৃক সরেজমিন পরিদর্শন হয়েছে। এরপর তারা যে প্রতিবেদন দিয়েছেন তাতে কোনো আর্থিক বা প্রক্রিয়াগত কোনো অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়নি। এছাড়াও ল্যাপটপ ক্রয়, বিদেশ ভ্রমণ ও আরএফআইডি ট্যাগের বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়।

ড. সফিকুন্নবী সামাদি বলেন, এর আগে হেকেপের নিয়ম অনুযায়ী প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে প্রতিটির ব্যয় ও পরিকল্পনা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালকের মাধ্যমে উপাচার্যের অনুমোদিত হয়ে ঢাকাস্থ হেকেপ দফতরে গিয়েছে। হেকেপ দফতর কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর তা বাস্তবায়িত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি ড. সুলতান উল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এক্রাম উল্লাহ, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।