ইজতেমায় মোবাইল চার্জ-পানি বিক্রিসহ টুকিটাকি


টঙ্গীর তুরাগ তীরে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বাদ জোহর ভূপালের মুরব্বি ইকবাল হাফিজ-এর আম বয়ানের মাধ্যমে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারিদের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করতে টঙ্গীর ময়দানে ছুটে এসেছে ধর্মপ্রাণ মুসলমান। ভিআইপি থেকে শুরু সাধারণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করছেন ইজতেমার মাঠে নামাজের জামাআতে। সংক্ষেপে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে টুকিটাকি তুলে ধরা হলো-

>> হারানো ও প্রাপ্তি ডেস্ক
বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য ইজতেমা মাঠের পশ্চিম দিকে হারানো ও প্রাপ্তি সেন্টার খোলা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া জিনিস-পত্র সঠিক ব্যক্তিকে পৌঁছে দিতে খোলা হয়েছে হারানো ও প্রাপ্তি ডেস্ক। ময়দানে কেউ কিছু হারালে এই ডেস্ক-এ এসে যোগাযোগ করলে সহযোগিতা পাওয়া যায়। আবার কেউ কোনো সামান পেলে এই ডেস্ক-এ এসে জমা দিলেও তা সঠিক ব্যক্তি দেয়ার ঘোষণা করা হয়।

>> টাকার বিনিময়ে মোবাইল চার্জ
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের মোবাইল চার্জের জন্য খোলা হয় মোবাইল চার্জ সেন্টার। এখানে ২০ টাকার বিনিময়ে মোবাইল চার্জ করা হয়। একাধি মোবাইল চার্জের দোকানগুলো স্থাপন করা হয়-
– হোন্ডা রোড,
– ভরান মাজার বস্তি,
– টঙ্গী বাজার,
– আশরাফ সেতু মার্কেট,
– স্টেশন রোড,
– কামারপাড়া রোড,
– নিউ মন্নু টেক্সটাইলস মিলস,
– নিউ অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলস,
– মিলবাজার। এসব এলাকায় একাধিক মোবাইল চার্জের একাধিক দোকান খোলা হয়েছে।

>> ওজুর পানি ও নামাজের কাগজ বিক্রি
শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের জন্য ইজতেমা ময়দানে নামাজের জন্য পেপার বিক্রি হয়েছে ৫ টাকায়। আবার ওজুর জন্য প্রতি বদনা পানি বিক্রি হয়েছে ৫/১০ টাকায়।

>> ভ্রাম্যমাণ আদালতের নজরদারি
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে সক্রিয় রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। যে কোনো অস্বাভাবিক বিষয় পরিলক্ষিত হলেই জরিমানা করছে ভ্রাম্যমান আদালত। ইজতেমাস্থল ও আশপাশে অস্বাস্থ্যকর ও ভেজার খাদ্য বিক্রয়কারীদের কড়া নজরদারিতে রাখছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরিবেশ শান্ত ও সুন্দর করতে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদলত কাজ করছে ইজতেমা এলাকায়।

>> জুমআর নামাজে ভিআইপিদের অংশগ্রহণ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের জামুআর নামাজে অংশগ্রহণে করেছেন এক ঝাঁক ভিআইপি মেহমান। তারা হলেন- ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল, ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, পুলিশ কমিশনার মো আনোয়ার হোসেন, হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা নায়েবে আমীর মাওলানা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

>> বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ
১৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিশেষ মোজাকারা অনুষ্ঠিত হয়। জুমআর মিম্মারে বসে তাদের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন, মুফতি শাহজাদ, ভারত। এসময় মিম্বরের চারদিকে হাজার হাজার ছাত্রদের উপস্থিতিতে এক নুরানী পরিবেশ তৈরি হয়। বয়ানের তরজমা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি মাওলানা মুআজ বিন নুর।

>> শুক্রবার যারা বয়ান করেছেন
– বাদ ফজর আম বয়ান : মদিনার মাওলানা মুফতি ওসমান। অনুবাদ করেন- মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর।
– তালিমের বয়ান : ভারতের মাওলানা মুফতি আসাদুল্লাহ। অনুবাদ করেন মাওলানা মুফতি ওসামা ইসলাম।
– সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফাজায়েলের বয়ান : মাওলানা মুফতি ফয়জুর রহমান।
– বাদ জুমার বয়ান : দিল্লি নিজামুদ্দিন মারকাযের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা চেরাগ উদ্দিন। বয়ানের অনুবাদ করেন- মাওলানা মোতাসিম বিল্লাহ।
– বাদ আসর বয়ান করেন : খান শাহাবুদ্দিন নাসিম।
– বাদ মাগরিব বয়ান করেন : দিল্লির মাওলানা জামশেদ। অনুবাদ করেন- মাওলানা জিয়া বিন কাসেম।