বিনোদন ডেস্ক :: অ্যাকুয়াম্যানের পর ডিসি এক্সটেন্ডেড ইউনিভার্সের পরবর্তী যে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে তা-ও সম্পূর্ণ অপরিচিত এক সুপারহিরোকে নিয়ে। খুব বেশি মানুষ এই সুপারহিরো সম্পর্কে জানেন না। এই সুপারহিরোর নাম ‘শাজাম’।
অ্যাকুয়াম্যানের বক্স অফিস কাঁপানো সাফল্যের পর দর্শক ‘শাজাম’ নিয়েও বেশ আগ্রহী। ৫ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে ডেভিড এফ স্যান্ডবার্গ পরিচালিত ‘শাজাম’। একই দিন ছবিটি মুক্তি পাবে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও।
এরই মধ্যে অভিনেতা জ্যাকারি লেভি ও অন্য চরিত্রগুলো ট্রেইলার এবং টিজারের মাধ্যমে অনেকের মন জয় করে নিয়েছে।
ট্রেলারে দেখা গেছে, ১২ বছরের এতিম ছেলে বিলি ব্যাটসন। ছোটবেলায় সে নানা প্রতিপালক বাবা-মা বা ফস্টার প্যারেন্টসদের কাছে বড় হতে থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ পরিবারেই সে বেশিদিন টিকতে পারে না। অনেকগুলো পরিবারে ঘোরাঘুরি করার পর অবশেষে একটি পরিবারে এসে থিতু হয়।
একদিন ঘটনাক্রমে সে একটি সাবওয়ে ট্রেনের সামনে হাজির হয়। এই ট্রেন তাকে এক পরাবাস্তব জাদুকরী জগতে নিয়ে যায়। এই জগতের নাম রক অফ এটারনিটি। এখানে তার দেখা হয় উইজার্ড শাজামের সাথে। বিলি ব্যাটসনের অন্তরের কোমলতা ও অত্যাচারীদের প্রতিহত করার প্রবল ইচ্ছা জাদুকরকে মুগ্ধ করে।
সে তাকে নিজের শক্তি দান করে এবং বলে যে, ‘শাজাম’ শব্দটি উচ্চারণ করলে সে এক অসাধারণ কিছুতে পরিণত হবে। সামান্য এক বালক যখন ছয় ফুটের বেশি উচ্চতার এক বিশালদেহী মানুষের শরীরে আটকা পড়ে যায়, তখন ব্যাপারটি আসলেই কৌতূহল সৃষ্টি করে।
তাছাড়া প্রত্যেক কিশোরেরই বিভিন্ন সুপাহিরো ও সুপার পাওয়ার নিয়ে আলাদা জল্পনা কল্পনা থাকে। এ কারণেই কমিকবুক পড়ুয়া কম বয়সী পাঠকদের কাছে শাজাম অনেক প্রিয় এক চরিত্র।
শাজামের প্রধান ভিলেনগুলোও কমিকবুক জগতে দারুণ জনপ্রিয়। যার মধ্যে ডক্টর সিভানার কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ডক্টর সিভানা একজন পাগল বিজ্ঞানী। যে বিভিন্ন সময় তার খারাপ কাজগুলো সম্পাদন করার সময় শাজামের মুখোমুখি হয়। শাজামের ক্যাপ্টেন মারভেল হিসেবে পদার্পণ করার শুরু থেকেই অর্থাৎ সেই ফসেট কমিকসের সময় থেকেই ডক্টর সিভানা শাজামের প্রধান ভিলেন ছিল।
নিজের গবেষণা ও ব্যক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বাধা প্রদানের জন্য ডক্টর সিভানা সব সময় শাজামের অনিষ্ট সাধনের চেষ্টা করতো। এছাড়া সে শাজামের জাদুকরী ক্ষমতাগুলো নিয়েও গবেষণায় লিপ্ত ছিল। ‘শাজাম’ চলচ্চিত্রেও ডক্টর সিভানা প্রধান ভিলেন হিসেবে থাকছে।