শাবিতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র বিতরণ করতে গিয়ে আটক ৩


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবি)উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেনামে শ্বেতপত্র বিলি করতে গিয়ে তিন জনকে আটক করো হয়েছে।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আটককৃত বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাদেরকে জালালাবাদ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন সিলেট জেলার গোয়াইটোলা গ্রামের মো. কছির উদ্দিন এর ছেলে মো. শামীম আহমদ। মৌলভীবাজার জেলার শাষন গ্রামের বিরেন্দ্র কুমার চক্রবর্তীর ছেলে বিভাষ চক্রবর্তী এবং সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার গলিশালা গ্রামের মৃত. দীনেশ দাশের ছেলে প্রান্ত দাশ।

এদের মধ্যে মো. শামীম আহমদকে শ্বেতপত্র বিলি করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ‘ই’ থেকে আটক করা হয়। তিনি কুরিয়ার সার্ভিস এর পরিচয় দিয়ে শ্বেতপত্র বিতরণর করতে গেলে তার কাছে ডেলিভারি ম্যানের কোন পরিচয়পত্র না থাকায় এবং আচার-আচরণে সন্দেহজনক বলে মনে হওয়ায় তাকে আটক করা হয়।

এসময় তার কাছে খামবন্দী আরো পনেরটি দ্বিতীয় কিস্তি লেখা সম্বলিত শ্বেতপত্র পাওয়া যায়। শ্বেতপত্রে উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অানা হয়েছে। যার খামের উপর সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি ৩০/২ চৌকিদেখি, সিলেট লিখা ছিলো।

এরআগে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে উপাচার্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নামে ৫৩টি অভিযোগ এনে বেনামে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এই শ্বেতপত্রে উপাচার্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম, স্বৈরচারী আচরণ, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের অভিযোগ আনা হয়েছিলো ।

এবিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছে। যার প্রেক্ষিতে আসামীদের ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।