২০২১ সালের ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ আলাদা গুরুত্ব বহন করবে: এম.এ মান্নান


পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান এমপি বলেন,  নতুন সহস্রাব্দে পদার্পণের পর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এক নিরাপদ বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে ”জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১” অতীতের যে কোনো শুমারি অপেক্ষা অধিক গুরুত্ব বহন করবে। এ শুমারী সফল করে তুলতে সকল মহলকে নিজনিজ অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করতে হবে। সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া এটা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। জাতীয় এ দায়িত্ব পালনে নতুন প্রজন্মকে আরো বেশি উদ্যোগী হতে হবে। বিশাল সম্ভাবনাময় এদেশকে অর্থনীতিক ক্ষেত্রে আরো শক্তিশালী করতে এ শুমারীর বিকল্প নেই। তবে এজন্য সৎ, নিরপেক্ষ, কর্মঠ কর্মীদের নিয়োগ দিতে হবে। জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু  হবে ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি থেকে। শেষ হবে ৮ জানুয়ারি। ৭ দিন ব্যাপি এই মাথা গণনার জন্য ১৭’শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এবারের গণনায় প্রথমবারের মতো এদেশে অবস্হানরত বিদেশি এবং বিদেশে অবস্হানরত বাংলাদেশীদের গণনা করা হবে।

”জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১” উপলক্ষ্যে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ২টায় সিলেট সার্কিট হাউজে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ এসব কথা বলেন।

তিনি নিখুঁত ভাব ও আরো স্বচ্ছতার সাথে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের আহ্বান জানিয়ে  আরও বলেন, এবার গণনাকারীদের ভাতা চার গুন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। স্বচ্ছতার সাথে গণনাকারী নিয়োগ ও সাথে সাথে ভাতা পরিশোধের নির্দেশ দেন। ব্যয়ের ব্যাপারে সতর্ক করে তিনি বলেন, “খরচে বাঁধা নেই-হিসাবে আপোষ নেই”। প্রতিটি পয়সার হিসাব থাকতে হবে। অপচয়ের অপবাদ যেন শুনতে না হয়।

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবত্তী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিসের যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ আতিকুল কবীরসহ সিলেট বিভাগের জেলা প্রশাসকগণ, জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ পরিচালকগণ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিলেট বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।

মতবিনিময় সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা  বিভাগাধিন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এর মাধ্যমে ”জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১” সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুমারি বাস্তবায়ন পদ্ধতি অবহিতকরণ এবং খানা তালিকা প্রণয়নসহ মূল শুমারি অনুষ্ঠান সম্পর্কে সিলেট বিভাগের বিশেষজ্ঞ এবং অংশগ্রহণকারীদের মতামত গ্রহণ করা হয়।

সভায় শুমারির কার্যক্রম বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন বিবিএস’র পরিচালক মো. জাহিদুল হক সরদার।