তামিম ছাড়া কেউই ভালো খেলতে পারিনি : টাইগার অধিনায়ক


শুক্রবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪১ আর দ্বিতীয় (শনিবার) টি-টোয়েন্টিতে এক উইকেট বেশি হারিয়ে ১৩৬। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে যা খুবই মামুলী সংগ্রহ। যা তাড়া করতে একদমই সমস্যা হয়নি স্বাগতিক পাকিস্তানের।

প্রথম ম্যাচে তাও বল হাতে খানিক লড়াই করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে খেলতে হয়েছিল ১৯.৩ ওভার পর্যন্ত, হারিয়েছিল ৫টি উইকেট। কিন্তু আজ পাত্তাই পায়নি টাইগাররা। বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটে চড়ে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে, ২০ বল হাতে রেখেই পৌঁছে গেছে জয়ের বন্দরে। একইসঙ্গে সিরিজও নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।

ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক খোলামেলা স্বীকার করে নিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণেই মেলেনি জয়। আসলেও তাই। ব্যাট হাতে কেবলমাত্র তামিম ইকবাল খেলেছেন ৫৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেছেন আফিফ হোসেন। দুই অঙ্ক ছোঁয়া অন্য ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান।

অবশ্য তামিম ফিফটি হাঁকালেও তার ইনিংসের স্ট্রাইকরেট ও খেলার ধরন নিয়ে সন্তুষ্টি আসার সুযোগ খুবই কম। কেননা ইনিংস সূচনা করতে নেমে ১৮ ওভার পর্যন্ত খেললেও তিনি ৬৫ রানের বেশি করতে পারেননি। অথচ মোকাবেলা করেছেন ৫৩টি বল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেকোনো ওপেনার এত বেশি বল খেললে তার কাছে প্রত্যাশাটাও বেশি থাকে দলের।

তবু মন্দের ভালো হিসেবে তামিমের ফিফটিই বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিল ১৩৬ রানের সংগ্রহ। ম্যাচ শেষে পরাজয়ের ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ব্যাট হাতে আমরা নিজেদের সামর্থ্যের ছাপ রাখতে পারিনি। শুধুমাত্র তামিমই যা খেলেছে। অন্তত ১৫০-১৬০ রান করতে হতো। সে চেষ্টাটা ছিলো আমাদের। তবে কৃতিত্ব অবশ্যই পাকিস্তানের বোলারদের।’

টাইগার অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের ইনিংসের শেষটা ভালো করতে পারিনি। এখনই নিশ্চিত বলতে পারছি না যে শেষ ম্যাচে আমরা কোন পরিকল্পনা নিয়ে খেলবো। হয়তো বেঞ্চে থাকা খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে আমাদের শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং ম্যাচটাও জিততে হবে।’