মিয়ানমারে প্রবেশে চীনাদের স্বাস্থ্য ফরম পূরণ বাধ্যতামূলক


চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে ৮১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আরও দুই হাজার ৭৪৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। চীনের বাইরে ইতোমধ্যে পৃথিবীর চার মহাদেশের ১৪টি দেশে (555338) ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।

করোনাভাইরাস আতঙ্কে মিয়ানমারে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। চীন থেকে আসা ব্যক্তিদের ওপর বিশেষ কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটি। স্বাস্থ্য ফরম পূরণ চীনা নাগরিকদের মিয়ানমারে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম বার্মা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (বিএনআই) এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, চীন থেকে যারা মিয়ানমার বিমানবন্দরে নামছেন তাদের সবাইকে স্বাস্থ্য ফরম পূরণ করতে হচ্ছে। এরপর তাদেরকে করা হচ্ছে স্ক্যানিং। চীনের ভাইরাস যাতে মিয়ানমানে না ছড়ায় তার জন্য বাড়িত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন দেশটির সরকার।

মিয়ানমারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক ড. খিন খিন গাই এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, চীন থেকে আসা ভ্রমণকারীদের কেবলমাত্র স্বাস্থ্য ফরম পূরণের মাধ্যমেই মিয়ানমারের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ যদি পরীক্ষায় উতড়াতে না পারেন তাদের দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী এই সার্স ভাইরাসে অন্তত ২ হাজার ৭৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, করোনাভাইরাস নামের বৃহত্তর গোত্রের অংশ এই ভাইরাস। সংস্থাটি এর নামকরণ করেছে ২০১৯-এনকভ।

চীন ছাড়াও ইতোমধ্যে হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ম্যাকাউ, নেপাল, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, কানাডায় এ ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত করা গেছে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে গলা ব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-হাঁচি, জ্বরসহ সার্স ও মার্সের নানা উপসর্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।