পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে চীন, ফ্লাইট বন্ধের হিড়িক


চীনে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১৩ জন। চীন বাদেও একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এমতাবস্থায় চীন ভ্রমণে ও দেশে চীনফেরত ব্যক্তিদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে অন্যান্য দেশগুলো।

শুধু তা-ই নয়, চীনে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। এমতাবস্থায় কার্যত পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গণপ্রজাতন্ত্র চীন।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর সম্প্রতি যেসব দেশ চীনে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে, তাদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দেশ ও বিমান সংস্থাগুলো হলো-

কানাডা

কানাডাভিত্তিক এয়ারলাইন্স এয়ার কানাডা ২৮ জানুয়ারি জানিয়েছে, তারা চীনগামী সব ফ্লাইট বাতিল করছে।

ফ্রান্স

ফ্রান্সভিত্তিক এয়ারলাইন্স সংস্থা এয়ার ফ্রান্স ৩০ জানুয়ারি জানিয়েছে, চীনা মূল ভূখণ্ডগামী এবং ফেরত আসা সবধরনের ফ্লাইট আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে।

ভারত

৩১ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুম্বাই-দিল্লি-সাংহাইগামী সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়ে ভারতের বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া।

দক্ষিণ কোরিয়া

২৮ জানুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক এয়ারলাইন্স সংস্থা এয়ার সিউল জানিয়েছে, তারা চীনগামী সবধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে।

তানজানিয়া

তানজানিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা জানিয়েছে, তারা চীনগামী মূল ফ্লাইটগুলো বাতিল করবে। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চার্টার ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

যুক্তরাষ্ট্র

৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেস-বেইজিং/সাংহাই গামী ফ্লাইট স্থগিত করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাজ্য

এক মাসের জন্য চীনগামী সবধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ।

হংকং

৩০ জানুয়ারি থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত চীনগামী ফ্লাইট সংখ্যা অর্ধেক বা তারও বেশি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হংকংয়ের ক্যাথাই প্যাসিফিক।

ডেল্টা এয়ারলাইন্স

৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চীনগামী ফ্লাইট সংখ্যা প্রতি সপ্তাহে ৪২ থেকে ২১-এ নামিয়ে আনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডেল্টা এয়ারলাইন্স।

মিশর

ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে চীনগামী ও চীনফেরত সবধরনের ফ্লাইট স্থগিত ঘোষণা করেছে ইজিপ্ট এয়ার।

ফিনল্যান্ড

নানজিং ও বেইজিংগামী সবধরনের ফ্লাইট মার্চের শেষ পর্যন্ত স্থগিত করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক ফিনএয়ার।

আরও যেসব দেশ ও বিমান সংস্থা চীনগামী ফ্লাইট স্থগিত ও বাতিল করেছে সেগুলো হলো-ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ার গ্রুপ, জার্মানির লুফথানসা, সুইডেনভিত্তিক সাস, তুর্কিশ এয়ারলাইন্স, শিকাগোভিত্তিক ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, যুক্তরাজ্যভিত্তিক ভার্জিন আটলান্টিক।

এগুলোর বেশিরভাগই ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত ফ্লাইট স্থগিত ও বাতিল কার্যকরের কথা বলেছে।

এছাড়া সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন বা যারা সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা, তারা বাদে কোনো চীনা পাসপোর্টধারীকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তবে যেসব চীনা পাসপোর্টধারী দেখাতে পারবেন যে, তারা সম্প্রতি চীনে যাননি, তাহলে কেস-বাই-কেস বিবেচনায় তাদের সিঙ্গাপুরে প্রবেশে অনুমতি দেয়া হতে পারে।