মৌলভীবাজারে চলছে পিঠা উৎসব ও শীতকালীন মেলা


মৌলভীবাজারের অনলাইন উদ্যোক্তাদের সংগঠন “মৌলভীবাজারে অনলাইন অন্ট্রাপ্রিনিউর্স ফোরাম” আয়োজনে শুরু হয়েছে দুইদিনব্যাপী ‘পিঠা উৎসব ও শীতকালীন মেলা ২০২০’।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে মৌলভীবাজার জনমিলন কেন্দ্রে এই পিঠা উৎসব ও শীতকালীন মেলার উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র ফজলুর রহমান।

বেকিং স্টোরি, লিলাবতী, ক্রিয়েটিভ ক্রিয়েশনস, রয়েল কেক, লন্ডন এক্সপ্রেস, ব্লাশ মেকআপ (ইউকে প্রোডাক্ট), নুহিন্স কালেকশন, এএইচটি ডিজাইন এন্ড ফ্যাশন, স্মার্ট চয়েস, কুকিং স্টুডিওস এককাস প্যালেস, রোজ পেটেলস, দ্যা ডিভাস, স্বরে-অ, স্ন্যাক হ্যাক, চন্দ্রমৌলি, মনিপুরী হ্যান্ডিক্রাফট, মালিহাস কালেকশন, আপ্যায়ন, সুইট এন্ড স্পাইসি, ট্রেন্ড ফ্যাশন ওয়্যার, সিটি ফ্যাশন, ফ্লাওয়ার এঞ্জেল, বেরি ব্লসম বুটিক ও হোমটাউন ফ্লেভারসহ উদ্যোক্তাদের ২৪টি স্টল এই মেলায় অংশগ্রহন করেছে। বাহারি ও মজাদার নানা পদের দেশি-বিদেশি খাবারের পাশাপাশি স্টলগুলোতে আছে প্রসাধনী সামগ্রী, জুয়েলারি, মেক-আপ, থ্রি-পিছ ও শাড়ি।

আয়োজকরা জানান, এ মেলা চলবে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে বেলা ১১টা রাত ৮টা পর্যন্ত । মেলাটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

সরেজমিনে জনমিলন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা নানা পদের খাবার এবং কেকের স্বাদ পরখ করে দেখছেন। মেলায় ঘুরতে এসেছেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের ছাত্রী জান্নাতুল ইতি। তিনি বলেন, নানা পদের খাবার এবং কেক তার কাছে ভালো লেগেছে। বেশ কিছু আইটেমের স্বাদ তিনি নিয়েছেন। যেহেতু এগুলো ঘরে বানানো তাই এর গুণগত মানও ভাল।

মেলায় অংশ গ্রহণকারীরা জানালেন, প্রত্যশার চেয়েও ভাল সাড়া চ্ছেন। নানা রঙের এবং স্বাদের কেক বানিয়ে নিয়ে এসেছেন মিথি জামান। তিনি জানালেন প্রত্যশার ছেয়ে ভাল বিক্রি হচ্ছে। মানুষ এখন সচেতন তাই বাজার থেকে ঘরে বানানো এই সব খাদ্যের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

তবে খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি নানা ধরনের জুয়েলারি, মেক-আপ, থ্রি-পিছ ও শাড়ির স্টল বসেছে মেলায়। জুয়েলারি আইটেম নিয়ে এসেছেন ফারহাত আহমেদ। তিনি জানালেন মানুষের প্রচুর আগ্রহ আছে এইসব জুয়েলারির প্রতি এবং মেলাতে আমরা ভাল সাড়াও পাচ্ছি।

তবে সব মেলায় ভোজন রসিকদের বেশী সমাগম ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আরেক উদ্যোক্তা মাইশা ফারজানা চৌধুরী। তিনি জানান, বেকিং স্টোরি নামে তার একটি কেকের স্টল রয়েছে নানা বয়সের মানুষ তার স্বাদ পরখ করে দেখছেন।

আয়োজকরা জানালেন তারা নিয়মিত এই ধরনের মেলা আয়োজন করে থাকেন। তাদের উদ্দেশ্য উদ্যোক্তাদের সাথে গ্রাহকের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। কারণ এখানে যে সব উদ্যোক্তা আছেন তাদের বেশির ভাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ব্যবসা পরিচালনা করে থাকনে। নিয়মিত বিরতিতে তাদের এই আয়োজন ক্রেতা বিক্রিতার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন করে।
মেলার আয়োজকদের একজন সোনিয়া মান্নান জানান, তারা সব সময় চেষ্টা করছেন মান ধরে রাখতে। ভেজাল খাদ্যের ভীড়ে তারা স্বাস্থ্য সম্মত খাবারের নিশ্চয়তা দিতে চান।