বিশ্বকাপের দলগঠনে ‘কোটা’ পদ্ধতি বাতিল করল দক্ষিণ আফ্রিকা


ক্রীড়া ডেস্ক :: শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণে অদ্ভুত এক কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। যে নিয়ম অনুসারে প্রতি মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ক্রিকেট দলে সর্বোচ্চ ৫ জন শ্বেতাঙ্গ এবং বাকি ৬ জন অন্য বর্ণের ক্রিকেটার নেয়া হয়ে থাকে।

তবে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে এ নিয়মটি মানবে না দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে কোনো কোটা পদ্ধতি থাকবে না বলেই জানিয়েছেন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা প্রধান নির্বাহী থাবাং মোরো। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ওটিস গিবসন এবং নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক লিন্ডা জন্ডিকে জানানো হয়েছে এই সিদ্ধান্তে কথা।

সংবাদমাধ্যমে বিশ্বকাপের দলগঠনে কোটা পদ্ধতি বাতিলের খবর জানিয়ে থাবাং বলেন, ‘বিশ্বকাপের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অনুপাত থাকবে। গিবসন এবং জন্ডি তাদের ১৫ সদস্যের দলে যোগ্যতার ভিত্তিতে যেকোনো ১৫ জনকে নিতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্বকাপটা জিততে। এজন্য অবশ্যই সেরা ১৫ জন খেলোয়াড়েরই সুযোগ পাওয়া উচিৎ। ম্যাচের একাদশ নির্ধারণেও একই কথা প্রযোজ্য। সেরা দলটিই নামানো হবে। আমি দল নির্বাচনে আর কোনো নির্দিষ্ট অনুপাত বা কোটার প্রয়োগ চাই না।’

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ম্যাচে কাইল এবটের বদলে ভারনন ফিল্যান্ডারকে খেলানোয় উঠেছিলো কোটা পদ্ধতির অপব্যবহারের অভিযোগ। তাই চলতি বিশ্বকাপে এমন কিছুর সম্মুখীন হতে চাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকান বোর্ড।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে আগামী ১৮ এপ্রিল। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামবে তারা।