এসএসসি পরীক্ষা শুরু সোমবার, সিলেটে বসছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার পরীক্ষার্থী


সারাদেশে একসাথে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল সোমবার থেকে। এ বছর সিলেটে মোট ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এরই মধ্যে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বঘোষিত সময়সূচী অনুযায়ী, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পেছানোর কারণে পরীক্ষাও পিছিয়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড নিজ নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচী নির্ধারণ করেছে।

এদিকে সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমেদ জানান, সারাদেশে এবার গত বছরের তুলনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমলেও সিলেট শিক্ষা বোর্ডে বেড়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। সেই সাথে বেড়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও। এবছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষা দিবে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৭২ জন। ফলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ হাজার।

এছাড়া এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও। এবছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৪৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গতবার কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১৩১টি। ফলে এবার কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে ১৫টি।

অন্যদিকে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এবার সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। গতবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। গতবারের তুলনায় এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী কমেছে ৮৭ হাজার ৫৩৪ জন। গত বছরের থেকে চলতি বছর ৪৬ হাজার ৭৮ জন ছাত্র ও ৪১ হাজার ৪৭৬ জন ছাত্রী কমেছে। আর কেন্দ্রে সংখ্যা ৩ হাজার ৫১২টি।

নয়টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন পরীক্ষার্থী চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে দুই লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী দাখিল এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এক লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে।

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি সাংবাদিকদের বলেছেন, পরীক্ষা উপলক্ষে কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোচিং সেন্টারগুলো এক মাস বন্ধ থাকবে। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী দেরি করে কেন্দ্রে আসলে রেজিস্ট্রারের নাম, ক্রমিক নং ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে।

কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রসচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *