সিলেটের ওসমানীনগরে মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় প্রবাসীর পরিবার


সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের লামাপাড়া গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী শহিদ উল্যার কাছে গ্রামের একটি পক্ষ বিগত কয়েক বছর ধরে বড় অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রায় দুই মাস পূর্বে শহিদ উল্যা দেশে আসার পর তার কাছে চাঁদা চাওয়া হয়। দাবিকৃত না দেয়ায় দুস্কৃতিকারীরা প্রবাসীর ভুমি দখলের হুমকি দিয়ে ভুমি দখলের চেষ্টা করে। ভুমি দখলে বাঁধা দেয়ায় শহিদ উল্যার ওপর অতর্কিত হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় শহিদ উল্যা (৭৬) বাদি হয়ে ওসমানীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিলের পর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ২৯ জানুয়ারি মামলা রুজু করা হয়। মামলা নং-১১।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- লামা পাড়া গ্রামের ছলিম উল্যার ছেলে মুনসুর মিয়া, শাকিল মিয়া, শাহীন মিয়া, একই গ্রামের নছিব উল্যার ছেলে মুছলিম উল্যা ও হাবিব উল্যাসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- শহিদ উল্যা দেশে আসার পর থেকে অভিযুক্তরা তার কাছে চাঁদা দাবি করে তাকে নানাভাবে হয়রানি করে। চাঁদা না দিলে তারা ভুমি দখলের হুমকি দেয়। গত ২৬ জানুয়ারি অভিযুক্ত মুনসুর মিয়ার নেতৃত্বে তার স্বজনরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে শহিদ উল্যার ভুমি দখলের প্রস্তুতি নেয়। বয়োবৃদ্ধ শহিদ উল্যা লাঠির উপর ভর করে সেখানে গিয়ে দখলকারীদের বাঁধা দেন। তখন মুনসুরের নির্দেশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শহিদ উল্যার ওপর অতর্কিত হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন।

এদিকে মামলা দায়ের পর হামলার নির্দেশদাতা ও এজাহারভুক্ত প্রথম অভিযুক্ত মুনসুর আলীকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে।

শহিদ উল্যা বলেন, মুনসুরকে গ্রেফতারের পর থেকে তার স্বজনরা আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে কাপনের কাপড় নিয়ে প্রস্তুত থাকার কথা বলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি বাড়িতে একা থাকি তাদের অব্যাহত হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় গৃহবন্দি অবস্থায় আছি। বিগত দিনেও তারা আমার কাছে চাঁদা করেছিল এবং আমার নামে রেজিস্ট্রি করা ভুমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এনিয়ে প্রতিবাদ করায় আমার পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের ওপর হামলা করা হয়। এসব ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৯ জুন ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা ও একই বছরের ২৯ আগস্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে মুনসুরসহ তার লোকজন আরো বেপরোয় হয়ে ওঠেছে।

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এসআই সাইফুল মোল্লা বলেন বাদিকে হুমকি দেয়া হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।