চীনে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে বেড়েছে মাস্কের ব্যবহার। এই সুযোগে সংকটের কথা বলে মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ী ও ফার্মেসি মালিকরা। তাদের ধরতে এবার অভিযানে নামছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অনিয়ম ধরা পড়লে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জাগো নিউজকে বলছিলেন, ‘আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, হঠাৎ করে মাস্কের দাম বেড়ে গেছে। মূলত করোনাভাইরাসের খবরে মানুষ সচেতনতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করছে। ফলে চাহিদা বেড়েছে। এর সুযোগ কাজে লাগাতে কিছু ব্যবসায়ী মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি অনৈতিক কাজ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের পরিপন্থী। তাই আমরা আগামীকাল (বুধবার) থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাব। যারা ভোক্তার ন্যায্য অধিকার হরণ করবে, বেশি দাম নেবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চীনের নভেল করোনাভাইরাসের খবরে মানুষের মাঝে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। এ সুযোগে সংকটের অজুহাতে মাউথ মাস্ক, অ্যান্টি ডাস্ট মাস্কের (সার্জিক্যাল মাস্ক) দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। সর্বনিম্ন ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১,৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মাস্ক। রাস্তায়, ফুটপাতে, বিভিন্ন অনলাইন শপে মাস্ক বিক্রি হলেও ফার্মেসিগুলোতে মাস্কের সংকটের কথা বলা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়েও মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের আকার ১৩৫ ন্যানো, যা ভালোমানের মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। এ কারণে বাংলাদেশেও বেড়েছে এর চাহিদা।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মেসি ও অনলাইন শপিংয়ে বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করতে দেখা যায়। ডিস্পোজেবল নন ওভেন ফ্যাব্রিক মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, কটন মাস্ক ১২০, স্পঞ্জ অ্যান্টি ডাস্ট মাস্ক ৫০, এন-৯৫ (৮২১০) মাস্ক ২৫০, এন-৯৫ (৮১১০এস) ১৮০, পিএম-২.৫ মাউথ মাস্ক ১২০, সাওমি এয়ারপপ থ্রি-সিক্সটি ডিগ্রি অ্যান্টি ফগ মাস্ক ৩৫০, সাওমি স্মার্টলি ফিল্টার মাস্ক ৪৫০ এবং সাওমি পিএম-২.৫ লাইট ওয়েট মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১,৭৫০ টাকায়। এ ছাড়া ফুটপাতে বা বাসে হকাররা কাপড়ের যেসব মাস্ক ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করতো, সেগুলো এখন ২০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।