‘কর্মকর্তা’ পরিচয়ে বিকাশের টাকা হাতিয়ে নিত তারা


রাজধানীর কাফরুল এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। র‌্যাবের দাবি, গ্রেফতার প্রতারকরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও সরকারি কর্মচারীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। এক্ষেত্রে তারা কখনো বিকাশ হেড অফিসের, কখনো সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে থাকেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সোহেল রানা (৩২), প্রভাত কুমার সাহা (২৫), শাওন মন্ডল (২৬) ও মামুনুর রশিদ (২৬)।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‌্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে র‌্যাব-৪ এর একটি দল কাফরুল থানাধীন সেনপাড়ার পর্বতা আদর্শ রোডের একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৮টি মোবাইল সেট ও ২৪টি সিম জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, ‘চক্রটি দেশের বিভিন্ন স্থানের সাধারণ বিকাশ এজেন্টদের কাছ থেকে লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে। ভুয়া নাম-ঠিকানা দিয়ে নিবন্ধিত সিমকার্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন এলাকার সহজ-সরল সাধারণ জনগণের কাছে নিজেদেরকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে তাদের বিকাশ পিন কোড জেনে নেয়। স্মার্টফোনে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে সাধারণ লোকজনের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়।’

র‍্যাব-৪ এর এ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতারক চক্রের সদস্যরা নিজেদেরকে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বিকাশ এজেন্টদের নম্বর সংগ্রহ করে তাদের কাছে ফোন করে জরুরি প্রয়োজনে টাকা পাঠাতে বলে ও টাকা ধার দিতে বলে। এমনকি বদলির ভয় দেখিয়েও তাদের নিকট থেকে টাকা সংগ্রহ করে।’

প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান এএসপি সাজেদুল।