ডেস্ক রিপোর্ট :: ভুয়া খবর বন্ধে সরকার অনলাইন নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, ভুয়া খবরের প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে বিটিআরসি, আইসিটি বিভাগ, পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে বলেও জানান।
শনিবার রাজধানীর কসমস সেন্টারে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা জানান। ‘ফেইক নিউজ অ্যান্ড হেইট স্পিচ কজেজ অ্যান্ড কনসিক্যুয়েন্সেস: হাউ ইট সাবভার্ট আওয়ার ডেমোক্রেটিক সিস্টেমস’ শিরোনামে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে কসমস ফাউন্ডেশন।
তিনি জানান, সাইবার আদালত গঠন, গুজব প্রতিরোধে ও অবহিতকরণ সেল গঠনের পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য রেজিস্ট্রেশনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে অনলাইন নীতিমালা প্রণয়নে সরকার কাজ করছে।
আনিসুল হক বলেন, আমাদের দেশে পাঁচটি উদ্দেশ্যে ভুয়া খবর (ফেইক নিউজ) প্রকাশ করা হয়। এগুলো হলো- এক. সাম্প্রদায়িক গুজব ছড়ানো; দুই. উগ্র রাজনৈতিক ধর্মীয় মিথ্যাচার প্রচার; তিন. রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা; চার. জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং পাঁচ. অবৈজ্ঞানিক জল্পনা-কল্পনা প্রচার করার জন্য। এসব উদ্দেশ্যের মধ্যে পাঁচ নম্বর কারণ ক্ষতিকর না হলেও বাকি চারটি ভুয়া খবরের কারণে জনমনে সহিংস প্রভাব পড়ে।
আইনমন্ত্রী বলেন, মূল ধারার সংবাদ মাধ্যমগুলোকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তৈরি এবং তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, যাতে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ না হয়। সংবাদ মাধ্যমগুলো সত্য এড়ানোর প্রবণতা/নীরবতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ আমাদের মনে রাখতে হবে, মানুষের সত্য জানার পথ সেখানেই বন্ধ হয়ে যায়, যেখান থেকে ভুয়া খবরের প্রচার শুরু হয়।
এ সময় মূল ধারার গণমাধ্যমগুলোকে ভুয়া খবর প্রকাশ বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইনায়েতুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্ট্যাডিসের (আইএসএএস) প্রধান গবেষক ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাকাউন্টিবিলিটি অ্যান্ড ইন্টারনেট ডেমোক্রেসির প্রেসিডেন্ট ডান সেফেট প্রমুখ।