ডেস্ক রিপোর্ট :: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আমরা ভারত থেকে আলাদা নয়। আমাদের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো একই। দুই দেশের মূল সমস্যা হচ্ছে দারিদ্র্য। দারিদ্র্য দূর করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে আমাদের। এজন্য আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা, সমন্বয় ও সম্পৃক্ততার মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শনিবার সকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারত ও বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও উপাচার্যদের নিয়ে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অব ভাইস চ্যান্সেলরস’(আইসিভিসি-২০১৯) সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
শাবির উদ্যোগে ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সহায়তায় দেশে প্রথমবারের মতো এ সম্মেলনে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আটটি ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আচার্য ও ২৩ জন উপাচার্য অংশগ্রহণ করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ ধরনের মহতী ও ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দ্বারের উন্মোচন করেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে শাখা-প্রশাখা যারা পরিচালনা করেন তারা একত্রিত হয়েছেন। পুরো অঞ্চলের চিন্তার জগত একত্রিত হয়েছে। দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার দ্বার উন্মোচন হবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ আমাদের মুক্তি সংগ্রামে সাথী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাজনৈতিক সীমানার দিক থেকে ভারত ও বাংলাদেশ ভিন্ন হলেও ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, জ্ঞানচর্চাসহ বিভিন্ন দিক থেকে একে-অপরকে যুক্ত করেছে।
শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের সামাজিক ব্যধি তথা মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদ দূর করতে হবে। এগুলো দূর করে আমাদের শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরি ও বজায় রাখতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শুধু ডিগ্রিধারী নয়, বরং আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির চেয়্যারমান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ভূ-প্রকৃতির দিক থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বিদ্যমান। আমাদের সঙ্গে ভারতের ভাষা, সংস্কৃতিসহ অনেক দিক থেকে মিল রয়েছে। এ ধরনের সম্মেলনের ফলে আমাদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- আসামের গোহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মৃদুল হাজারিকা, সম্মেলনের ভারতীয় সমন্বয়ক ও মেঘালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মাহবুবুল হক।
আরও বক্তব্য রাখেন- সম্মেলনের আহ্বায়ক ও শাবির অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ ও সদস্য সচিব ও সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চশিক্ষা, মৌলিক গবেষণা, উদ্ভাবনী কার্যক্রম, শিক্ষা-প্রশাসন, ভূ-রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।