সম্মিলিত নাট্যপরিষদের গুণীজন সম্মাননা প্রদান


বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা পাঁচ গুণীজনকে সম্মাননা দিয়েছে সম্মিলিত নাট্যপরিষদ সিলেট।

১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সন্ধ্যায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট আয়োজিত মহান একুশের আলোকের নাট্য প্রদর্শনীর ১৫তম দিনে কবি নজরুল অডিটোরিয়াম মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত নাট্যপরিষদ গুণীজন সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

১৯৮৮ সালে চৌহাট্টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর বিক্রম ইয়ামিন চৌধুরী (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইফতেখার হোসেন শামীম (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শওকত আলী এবং নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য হবিগঞ্জের নাট্যজন অ্যাডভোকেট সুব্রত চক্রবর্তীকে প্রধান অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাট্যপরিষদ সম্মাননা তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইফতেখার হোসেন শামীম মরণোত্তর সম্মাননা গ্রহণ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাজনীন হোসেন ও বীর বিক্রম ইয়ামিন মরণোত্তর সম্মাননা গ্রহণ করেন ক্রীড়া সংগঠক গোলাম জাবির চৌধুরী জাবু। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নৃত্য পরিবেশন করে ছন্দ নৃত্যালয়ের শিল্পীবৃন্দ।

‘একুশে মিছিল, একুশে হাঁটা, একুশ মানে না পথের কাঁটা’ এই স্লোগানে একুশের আলোকে নাট্য প্রদর্শনীর ১৭ দিনব্যাপী আয়োজনের গতকাল শনিবার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিনহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আসলাম উদ্দিন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের অধ্যাপক জাকির হোসেন। প্রধান অতিথি সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে ফুল উত্তরীয় ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমেদ চৌধুরী মিশুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাট্যজন নিজামউদ্দিন লস্কর ময়না, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন।

সম্মাননা গ্রহণ করে অনুভূতি ব্যক্ত করেন সম্মাননাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। সম্মাননাপ্রাপ্তদের জীবনী পাঠ করেন ইন্দ্রানী সেন শম্পা, সুপ্রিয় দেব শান্ত, অচিন্ত কুমার দে অমিত ও ফারজানা সুমি।