করোনা ঝুঁকিতে ইতালিতে শুকনো খাবার মজুদের হিড়িক


ইতালিতে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সাথে যোগ হচ্ছে মৃতের সংখ্যাও। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে প্রবাসীদের মাঝে। অনেকেই শুকনো খাবার মজুদ করে রাখছেন।

এদিকে ইতালির সাথে কয়েক দেশের আকাশ পথ ও স্থল পথের যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে আক্রান্ত এলাকায় এয়ারপোর্টে সতর্ক অবস্হা জারি করা হয়েছে ইতালির কয়েকটা শহরের সাথে গণপরিবহন যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে। ইতালির মিলানোর লম্বারদিয়া, ভেনেতো, পাদোভাসহ বেশ কিছু শহরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বাস, ট্রেন স্টেশনসহ রাস্তা-ঘাটে তেমন লোকজন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না আগের মতো। তবে নিত্যপণ্য কিনতে কিছু কিছু মার্কেটে উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ইতালিয়ানসহ বিভিন্ন দেশের লোকজন প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের হচ্ছে না।

অনেকেই মার্কেট থেকে কিনে রাখছেন এক থেকে দুই মাসের শুকনো খাবার। গত কয়েকদিন যাবৎ ফার্মেসীতে মাস্ক সংকট দেখা দিয়েছে । মাস্ক শেষ হয়ে যাওয়ায় আরো বেশী আতঙ্কে আছেন যাদের জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ঘর হতে বের হতে হয়। তবে বাংলাদেশী কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, ও অফিস গুলোতে প্রবেশের ক্ষএে সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা গিয়েছে । সকলের মাঝে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। কাজের স্হানে, রাস্তায়, বাস বা ট্রেনে কেউ হাচি, কাশি দিলেই অনেকে পাশ থেকে সরে যাচ্ছে।
প্রশাসনিক বিভাগ ভেনেতোর সভাপতি লুকা জিয়া জানান, ইতালিতে প্রতি ঘন্টায় বাড়তেছে ‘করোনা’ ভাইরাস। অন্যদিকে আজ ইতালির ট্যুরিস্ট শহরের সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পার্ক, পাবলিক প্লেস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । শহরের বাসিন্দাদেরকে গৃহ থাকতে বলেছেন তিনি।

ভেনিসসহ বিভিন্ন শহরে করোনা ভাইরাস যাতে আক্রমণ করতে না পারে সে জন্য রাস্তা, বাসার বাইরে ও দোকান অফিসের সামনে তরল ঔষধ ছিটাতে দেখা গেছে। অন্যদিকে কোনো ক্রেতা না পেয়ে চাইনিজ দোকান, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দিয়ে বাসায় অবস্হান করছেন বহু ব্যবসায়ী।

,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *