প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কথা চিন্তা করে মাসিক গ্যাস ও বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়ার বিষয়টি শিথিল করেছে সরকার। কোনও রকম মাশুল ছাড়াই বিলম্বে জমা দেওয়া যাবে এসব বিল।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। রবিবার মন্ত্রণালয় থেকে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কাছে পাঠানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি থেকে মে—এই চার মাসের গ্যাসের বিল আগামী জুনে জমা দেওয়া যাবে।
আর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত তিন মাসের বিদ্যুতের বিল মে মাসে জমা দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য কোনও বিলম্ব মাশুল বা সার চার্জ দিতে হবে না গ্রাহককে।
জ্বালানি বিভাগের উপসচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আবাসিক গ্যাস বিল নির্ধারিত সময় জমা দিতে বিপুল পরিমাণ গ্রাহক ব্যাংকে একসঙ্গে গিয়ে জমা হয়। এভাবে অনেক মানুষ একসঙ্গে ব্যাংকে গিয়ে বিল দিতে গেলে করোনাভাইরাস বা ‘কোভিড–১৯’ সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার ‘গ্যাস বিপণন নিয়মাবলি (গৃহস্থালি) ২০১৪’ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবাসিক গ্রাহকেরা কোনও রকম বিলম্ব মাশুল বা সার চার্জ ছাড়াই ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের গ্যাস বিল আগামী জুন মাসের সুবিধাজনক সময় জমা দিতে পারবেন।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠিটি দেন উপসচিব আইরিন পারভিন। চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যুতের আবাসিক গ্রাহকেরা বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে গ্রাহকদের পক্ষে বিল পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিল কোনও রকম বিলম্ব মাশুল ছাড়া মে মাসে জমা নেওয়ার জন্য বিইআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়।