করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক প্রায় সব রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে বন্ধ করা হয়েছে দেশের অভ্যন্তরীন রুটে চলমান ফ্লাইটগুলোও।
কিন্তু এখনো চলেছে ঢাকা-লন্ডন-সিলেট-ঢাকা ও ঢাকা-ম্যানচেস্টার-সিলেট-ঢাকা রুটের দুটি ফ্লাইট। এই দুটি ফ্লাইট চালু থাকায় মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এ অবস্থায় লন্ডন-সিলেট ফ্লাইটটি সাময়িক স্থগিত রাখার জন্যও দাবি তুলছেন সিলেটবাসী।
এ ফ্লাইট বন্ধের দাবি জানিয়ে সিলেটের জ্যেষ্ঠ্য সাংবাদিক ইকরামুল কবির ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ম্যানচেস্টার-লন্ডন-সিলেট বিমানের সরাসরি ফ্লাইট আপাতত বন্ধ করুন। এ ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের দেখে আমরা আতঙ্কিত ‘
পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা করোনা সতর্কতায় ‘অবিলম্বে লন্ডন-সিলেট ফ্লাইট সাময়িক বন্ধ করা হোক’ শিরোনামে একটি কলামও লিখেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘ঢাকা বিমানবন্দরে যারা নামছেন তাদেরকে সরাসরি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন এ নেওয়া হচ্ছে। সিলেট বিমানবন্দরে যারা নেমেছেন তাদেরকে এভাবে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন এ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। যেহেতু সিলেটে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই তাই লন্ডন-সিলেট ফ্লাইট অবিলম্বে স্থগিত করার দাবি জানাই।’
যদিও সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার লাগনো হয়েছে। কিন্তু দেহে সুপ্ত অবস্থায় করোনা ভাইরাস থাকলে সেটা থার্মাল স্ক্যানারে শনাক্ত হয়না। তাই যাত্রী আসা বন্ধ না করলে শুধু স্ক্রিনিং করে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো অসম্ভব।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওসমানী বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, ওই উপসর্গ ছাড়া যে যাত্রীরা আসছেন তাদের আমরা শনাক্ত করতে পারছি না। তারা যে ভাইরাস বহন করছে না তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তাই এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।