বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৬৯ নাগরিক


করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশে আটকে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের ২৬৯ নাগরিক একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৭৭ ফ্লাইটটি তাদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল ৯টি পোষা কুকুর।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ উল আহসান এ সব তথ্য জানান। এ দিকে লন্ডন ও ম্যানচেস্টার থেকে সোমবার সকালে ৭৩ যাত্রী নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি ফ্লাইট ঢাকায় এসেছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশে থাকা নাগরিকদের বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরাতে উদ্যোগের কথা জানায়। পরদিন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন থেকে ব্রিটিশ নাগরিকদের ঢাকা থেকে লন্ডন ও ম্যানচেস্টার রুটে বিমানের ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়।

ঢাকা ত্যাগ করার তালিকায় মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে কূটনীতিক, পর্যটক ও বাংলাদেশে কর্মরতরা আছেন। ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে সার্বিক প্রস্তুতি দেখতে সোমবার দুপুরে বিমানবন্দরে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।

এ বিষয়ে মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, যারা দেশে ফিরেছেন তারা নিজেদের পছন্দেই ফিরেছেন। কাউকে জোর করা হয়নি। এমন বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা শুধু বাংলাদেশে করা হয়েছে তা নয়, বরং বিশ্বের ২৮টি দেশের ১০ হাজার নাগরিককে ফেরাতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা একটা সাময়িক পদক্ষেপ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ঢাকায় ফিরবেন।

এ দিকে যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও ম্যানচেস্টার রুটে বিমানের ফ্লাইট চলার শেষ দিন ছিল সোমবার। মঙ্গলবার থেকে এ দুটি রুটে ফ্লাইট সাতদিনের জন্য স্থগিত করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সোমবার লন্ডন ও ম্যানচেস্টার থেকে আজ সোমবার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি ফ্লাইট ঢাকায় আসে। এই দুটি ফ্লাইটে মোট ৭৩ জন যাত্রী ছিলেন। করোনাভাইরাসের কারণে এ দুটি ফ্লাইটের পর আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিমানের কোনো ফ্লাইট যুক্তরাজ্যে চলাচল করবে না।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ১৬ মার্চ থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্য সব দেশ থেকে যাত্রীদের আসা বন্ধ করে বাংলাদেশ।

এরপর ২১ মার্চ থেকে ভারত, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। ওই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশগুলোর সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও পরে তা বর্ধিত করে ৭ এপ্রিল করা হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *