করোনা নাইট্রিক অক্সাইডে ভাল হবে? পরীক্ষা করছেন বিজ্ঞানিরা


করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চীন থেকে শুরু করে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের গবেষকরা। এরই মধ্যে করোনা চিকিৎসায় নাইট্রিক অক্সাইডের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এর আগে স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের সংক্রমণ মুক্ত রাখতে এটি ব্যবহার হচ্ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাইট্রিক অক্সাইড আমাদের রক্তনালী প্রসারণ করতে সহায়তা করে এবং শরীরের সবখানে রক্ত ​​এবং অক্সিজেন প্রবাহকে গতিময় করে তোলে। কয়েক দশক ধরে ফুসফুস ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্থ রোগীদের চিকিৎসায় ডাক্তাররা নাইট্রিক অক্সাইড ব্যবহার করছেন। ধমনিতে রক্ত জমাট বেঁধে গেলেও এটি কাজে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটালের ডাক্তার ওয়ারেন জাপল বলেন, অন্তত পাঁচ লাখ মার্কিনি নাইট্রিক অক্সাইডের সহায়তায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অন্তত ৩০ হাজার শিশুকে সুস্থ করে তুলতে প্রতি বছর এটি ব্যবহার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, বহু মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও ঠান্ডাজনিত লক্ষণ প্রকাশ পায়নি। তবে তাদের তীব্র শ্বাসকষ্ট আছে। শ্বাসকষ্টের কারণে তাদের অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়েছে। শ্বাসকষ্টের জেরে অনেকের ফুসফুস চাপ নিতে পারে না। তাদের জন্য নাইট্রিক অক্সাইড যথেষ্ট প্রশান্তি দেয়।

তিনি আরো বলেন, প্রথমে শ্বাসকষ্ট শুরু হলেও পরে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। এমনকি শ্বসকষ্ট থেকে লিভার আক্রান্ত হয়ে আরো পরে পুরো শরীর কাবু করে ফেলতে পারে। যে কারণে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

ভেন্টিলেটরের সাহায্যেও শ্বাস ঠিক না হলে নাইট্রিক অক্সাইড শেষ চিকিৎসা। আর সেই নাইট্রিক অক্সাইড করোনা চিকিৎসার জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অবশ্য ফল পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেণ, করোনা চিকিৎসার ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন বাজারে আসতে আরো এক থেকে দেড় বছর সময় লাগতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন নাইট্রিক অক্সাইড স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য দারুণ কাজের হতে পারে। তারা কাজ শুরুর আগে ও পরে এটি ব্যবহার করলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যাবে।

সূত্র : গিজমোদো


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *