করোনা ভাইরাসের মৃত্যুমিছিল রুখতে গোটা বিশ্বে কদর বাড়ছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের। ওষুধটির জন্য রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছিল আমেরিকার মতো দেশও। করোনা ঠেকাতে ভারতের কাছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চেয়েছিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, ওষুধ না দিলে ফল ভাল হবে না বলেও হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন।
ভারত আমেরিকাকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দিয়েছে। বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও এসেছে। তবে, সত্যিই কি কভিড-১৯ ভাইরাস নির্মূল করতে সক্ষম এই ওষুধ? উঠছে এমন প্রশ্ন। ফ্রান্সের একটি সংস্থা দাবি করেছে করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন মূলত ম্যালেরিয়ার ওষুধ। ফ্রান্সের ‘ন্যাশনাল ড্রাগ সেফটি এজেন্সি’ এএনএসএমের দাবি, ম্যালেরিয়ার ওষুধ করোনার বিরুদ্ধে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারে সেই অর্থে সফলতা আসেনি। বরং ওষুধটির প্রয়োগের পর ১০০ জন করোনা রোগীর অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। শুধু তাই নয়, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগের পর অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তিনজন অবশ্য সুস্থ হয়েছেন।
তাই এজেন্সিটির পরামর্শ, করোনার বিরুদ্ধে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগ হাসপাতালে চিকিৎসকদের পরামর্শে করতে হবে। ডাক্তারদের মতামত না নিয়ে, ওষুধটি কিনে বাড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে খেলে ফল হতে পারে মারাত্মক। এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকরী হতে পারে তা প্রথম দাবি করেন ফ্রান্সের গবেষক দিদিয়ের রাউল্ট। যদিও তার গবেষণার ধরন নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের মোকাবেলায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, যেটা আসলে ম্যালেরিয়ার ওষুধ, কতটা কার্যকর তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে চিকিৎসক মহলে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাস্থ্য উপদেষ্টারাও এই ওষুধের প্রয়োগ ও কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবে কিছু করোনা রোগীর ক্ষেত্রে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগে ভাল ফল মেলায় বিশ্বজুড়ে মহার্ঘ্য হয়ে উঠেছে এই ওষুধ।