ক্রীড়া ডেস্ক :: বিশ্বকাপের আর মাত্র অল্প কিছুদিন বাকি। এই সময়ের মধ্যে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে। কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া রিচার্ড পাইবাসকে মাত্র তিন মাসের মাথায় বিদায় নিতে হলো। তার পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ফ্লয়েড রেইফার।
ফ্লয়েড রেইফারের বিশেষ একটি পরিচয় রয়েছে। ২০০৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। যখন ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের বিরোধ তুঙ্গে, ওই সময় তৃতীয় সারির ক্রিকেটারদের দিয়ে একটি দল তৈরি করতে হয়েছিল ক্যারিবীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। ওই দলেরই অধিনায়ক ছিলেন রেইফার।
ফ্লয়েড রেইফারের অধীনেই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পরাজিত হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর বাংলাদেশও তখন প্রথমবারেরমত বিদেশের মাটিতে কোনো টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল। শুধু তাই নয়ম, একই সঙ্গে ফ্লয়েড রেইফারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডে সিরিজেও হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে।
বাংলাদেশের কাছে হারের পরই রেইফারের ৬ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। ওয়ানডে ক্যারিয়ার সঙ্গে সঙ্গে না হলেও সেই বছরই শেষ হয়ে যায় তার। সেই ফ্লয়েড রেইফারকেই কি না অন্তর্ভর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের। হয়তো বা তার অধীনেই বিশ্বকাপে খেলতে নামবেন গেইল-হোল্ডাররা।
রিচার্ড পাইবাসকে নিয়োগ দেয়ার তিন মাসের মাথায় তার সঙ্গে চুক্তি শেষ করে দেয়া হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তন হয়ে নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রিকি স্কেরিট। যে কারণে কোচিং স্টাফেও পরিবর্তন আনতে হলো। পুরো সিলেকশন প্যানেলকেই সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন কোর্টনি ব্রাউন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি প্রধান নির্বাচক।
তাকেসহ পুরো সিলেকশন প্যানেলকে বাদ দিয়ে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রবার্ট হাইনেসকে। যিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৮টি টেস্ট খেলেন ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে। সভাপতি স্কেরিট বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, খুব দ্রুতই আমাদের পলিসি পরিবর্তন করা প্রয়োজন। যেন সিলেকশন পদ্ধতিটা আরও বেশি উন্মুক্ত এবং খেলোয়াড় বান্ধব হয়।’