করোনার কালো থাবায় সারা বিশ্ব কাঁপছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে ১৮৫টি দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৮২টি দেশ পুরোপুরি বা আংশিকভাবে লকডাউন প্রয়োগ করেছে। কিন্তু এই লকডাউনে পুরো অর্থনীতি অচল হয়ে পড়ার কারণে বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউন শিথিল করার কথা ভাবতে শুরু করেছে।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা সতর্কবাণী দিয়েছে যে, অর্থনীতি এভাবে চলতে থাকলে বিশ্বের অন্তত তিন কোটি মানুষ অনাহারে মারা যেতে পারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল পূর্বাভাস দিয়েছে যে, করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ায় বিশ্বের প্রবৃদ্ধি তিন শতাংশ হারিয়ে যেতে পারে।
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রযেছে ১০টি দেশ। সেই দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সংঘাত, অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। দেশগুলো হলো, ইয়েমেন, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, আফগানিস্তান, ভেনিজুয়েলা, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া, নাইজেরিয়া ও হাইতি। এই দেশগুলো সবচেয়ে বেশি খাদ্য সমস্যায় পড়তে পারে।
এদিকে, লকডাউনের ফলে কোথাও কোথাও ৩ মাসের বেশি সময় ধরে ঘরবন্দি মানুষ। চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে তাদের খাদ্য ব্যবস্থা। বিমান, রেলসহ সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সরবরাহও থমকে গেছে। এ অবস্থায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে কোটি কোটি মানুষের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আরিফ হুসেইন বলেন, কভিড-১৯ সম্ভবত কোটি কোটি মানুষের জন্য একটা বিপর্যয় ডেকে এনেছে।