যুক্তরাষ্ট্রে খুন হলেন চীনা করোনা গবেষক। এই ইস্যু নিয়ে বৈশ্বিক রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে তার হত্যাকে কেন্দ্র করে বেরিয়ে আসছে নানা সব তথ্য। কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা বুঝাও মুশকিল। কেননা এখনো এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ। তারা বলছে হাউ গু নামের একজন বিং লিউকে গুলি করে নিজেই আবার আত্নঘাতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুলিশের হাতে এইটুকুই তথ্য।
এ দিকে লিউ’র হত্যা নিয়ে অন্য রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে তার প্রতিষ্ঠান পিটাসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীরা। তারা বলছেন, ‘লিউ খুবই দুর্দান্ত একজন গবেষক ছিলেন। তিনি করোনার নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করার চেষ্টা করছিলেন। অনেকদূর কাজও এগিয়ে যায়। কিন্তু তার এমন মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।’ পাশাপাশি তারা এও বলছেন, ‘করোনা কিভাবে আসল, কোথা থেকে আসল এসব তথ্যও তার গবেষণার বিষয়ে ছিল।’
আর তার মৃত্যুকে ঘিরে চীনেও হচ্ছে নানা কথা। কেউ কেউ এর পেছনে ট্রাম্প সরকারের ষড়যন্ত্রকে বড় করে দেখছেন। চীনের এক সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট তো পুরোই বিস্ফোরক তথ্য দিলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে লিউ তার গবেষণায় বের করেন করোনার যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাব থেকে ছড়িয়েছে। তারপরই তাকে এভাবে মেরে ফেলা হলো।’ উবেই প্রদেশের কয়েকজন বলছেন, ‘এটা সহজে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। এর পেছনে অন্য কিছু লুকিয়ে আছে। করোনা উহানে ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা। সে তথ্যই মনে হয় দিতে চেয়েছে লিউ।’
আবার একজন বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে চীনা নাগরিকের থাকাটা ঠিক হয়নি।’ এ দিকে গ্লোবাল টাইমস নামের একটি ওয়েবসাইট, যা কিনা চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সাথে যুক্ত, তারা লিউ’র মৃত্যুকে নিয়ে ফলাও করে বিভিন্ন প্রতিবেদন ছাপিয়েছেন। সেখানেও নানা রহস্যের কথা তুলে ধরা হয়। তাছাড়া টুইটারে তার মৃত্যু নিয়ে রীতিমত আলোচনার ঝড়। তবে এসব আলোচনার মধ্যে আসলে কী কোনো রহস্য লুকিয়ে নাকি শুধুই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব? চূড়ান্ত তথ্যের জন্য হয়তো অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন।