দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ শপিংমলই বন্ধ থাকবে


নির্দেশনা থাকলেও করোনা সতর্কতায় রাজধানীর নিউমার্কেট, আনারকলি ও মৌচাক মার্কেট, নুরজাহান সুপার মার্কেট, নিউ নুরজাহান মার্কেট, হাজী সিদ্দিক ম্যানসন রেজা মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দোকান মালিক সমিতি। করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় রাজধানীসহ সারা দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ শপিংমল বন্ধ থাকবে।

আজ শনিবার গণমাধ্যমকে এ কথা জানান বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।

হেলাল উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেজন্য সারা দেশে প্রায় ৯৫ শতাংশ শপিংমল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ঝুঁকি এড়াতে অন্যান্য দোকানপাটও বন্ধ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ একমাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রাজধানীর মার্কেট ও শপিংমলগুলো। ৪ মে মার্কেট খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের পর রাজধানীর নিউমার্কেটে শুরু হয় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। প্রস্তুতি দেখা যায় মার্কেট খোলার। তবে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি কর্তৃপক্ষ।

শপিংমল থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকায় সর্বপ্রথম বসুন্ধরা সিটি শপিংমল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। এরপর যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনি চকসহ গুরুত্বপূর্ণ ১১টি মার্কেট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া ঢাকার বাইরে সিলেট, চট্টগ্রাম কুমিল্লা, খুলনা, রাজশাহীসহ প্রায় সব জেলা শহরে শপিংমল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

অপরদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের আগে বাজার করার জন্য শপিংমল খুলে দিলে ভিড় বাড়বে। আর এই ভিড় থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

শুধু তা-ই নয়, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক জরিপে বলা হয়েছে, দেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ চান না শপিংমল খোলা হোক। শপিংমল খুলে দিলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বলে তারা মনে করেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *