ইতিহাসের সবচেয়ে কুৎসিত ও নোংরা হবে এবারের মার্কিন নির্বাচন


২০২০ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু এই নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করবে কে? কেমন হবে নির্বাচনী পরিবেশ? করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কতটুকু প্রভাব ফেলবে? এমন সব প্রশ্ন এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বিশ্বজুড়ে। করোনা পরবর্তী ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল সারা বিশ্বের ওপরই প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নির্বাচন যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে কিনা সেটা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পূর্বাভাস দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক চার্লি কুক বলেছেন, ‘আপনি এই ভবিষ্যদ্বাণীটি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন যে এটি হবে আমাদের জীবনের সময়কালের সবচেয়ে কৃপণতম, নির্লিপ্ত এবং সবচেয়ে আকাঙ্খিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

তার বহুল পঠিত নির্বাচন নিউজলেটারে ‘কুক পলিটিকাল রিপোর্টে’ লিখেছেন, ‘এখন ভোটারদের কাছে কেবল দুটি জিনিসই গুরুত্বপূর্ণ: করোনভাইরাস এবং অর্থনীতি। এই দুটি জিনিসই এখন আরো ভাল হওয়ার চেয়ে আরো খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। নির্বাচনের আগে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে অর্থনীতিকে পতনের হাত থেকে রক্ষা করা এখন ট্রাম্প সরকারের জন্য বেশ কঠিন।’

তিনি বলেছেন, ‘এই বছর পর্যন্ত, ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা দ্বিগুণ ছিল, তবে করোনাভাইরাস এসে সব এলোমেলো করে দিয়েছে। প্রথমে ট্রাম্পের একটি শক্ত ঘাঁটি বা ভোট ব্যাংক ছিল যেটা এখনো আমার কাছে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বলে মনে হয়। দ্বিতীয়ত, তাকে শক্তিশালী অর্থনীতি চালিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল, তাকে সঠিকভাবে ভোটারদের উপর প্রভাব ধরে রাখার দরকার ছিল। এগুলো তাকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়া নিশ্চিত করতো।’

তবে কুক বলেছিলেন যে, এখন নির্বাচন কাছাকাছি চলে এসেছে। এখন অর্থনৈতিক ধাক্কা বাতাস কোন দিকে নেয় বলা মুশকিল। তবে এটি সম্ভবত তাঁর পিছনে নয় বরং সামনে ঝাপটা দেবে। অর্থনীতিকে ঠিক করেতে না পারলে ট্রাম্পকে আবারো পপুলার ভোটে হারতে হতে পারে। প্রেসেডিন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাঁকে সম্ভবত এবারো ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ওপর নির্ভর করতে হবে।

কভিড -১৯ যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় অর্থনীতি, পার্ক, শপিংমল, কারখানা এবং অন্যান্য ব্যবসা আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চূড়ান্ত দায়িত্বহীনতা বলে মনে করছেন বিরোধীরা। যুক্তরাষ্ট্রে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১২ লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষের। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।  বিরোধীরা এটাকে নির্বাচনে জয়লাভের জন্য অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পদক্ষেপ হিসাবে দেখছেন। এই প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ বিপদ তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *