ওয়ারেনে বড় ধরনের গাড়ি দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন সাংবাদিক তোফায়েল রেজা সোহেল। ১৩ মে বুধবার বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় তার গাড়ির সামনের দিকটা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভাগ্যক্রমে দুর্ঘটনা থেকে তিনি বেঁচে যান।
তিনি বাংলা সংবাদকে জানান, বুধবার আনুমানিক ৭.৩০ দিকে ওয়ারেনে একটি গ্রোসারী শপে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি তার ভাগ্নে নাঈমকে নিয়ে গাড়ি যোগে বের হলে পথিমধ্যে আরেকটি বেপরোয়া গাড়ি স্টাপ সাইন অমান্য করে সড়কে উঠলে তাদের চলন্ত গাড়ির সাথে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে তাদের গাড়ির সামনের দিকটা বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াই তারা প্রাণে রক্ষা যান। তারা সুস্থ আছেন তবে দুজনের বুকে হাল্কা চাপ লেগেছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ায় মহান আল্লাহর নিকট তিনি শুকরিয়া আদায় করেন। তিনি ১৩ তারিখ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দুর্ঘটনার বর্ণনা দেন।
২০০৩ সালে সাপ্তাহিক হবিগঞ্জের আলো ও সাহসী কন্ঠ পত্রিকায় হাতেখড়ি তার। টানা দশ বছর কাজ করেছেন দৈনিক যুগান্তর বানিয়াচং প্রতিনিধি হিসেবে। হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক খোয়াই এর স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। বর্তমানে জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কম মিশিগান প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও মিশিগান থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদ এবং সিলেটের আঞ্চলিক নিউজ পোর্টাল সিলেটভিউ২৪.নেট এ মিশিগান থেকে কাজ করছেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগ পর্যন্ত বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি হবিগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরাম এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সোহেল তিনবার পিআইবি’র ট্রেনিং সহ সাংবাদিকতার ওপর বহু ট্রেনিং করেছেন। ২০১৭ সালে একুশের অনুষ্ঠানে সৎ সাংবাদিকতার ওপর বানিয়াচং গণগ্রন্থাগার সোহেলকে সম্মাননা পদকে ভূষিত করে।
পত্রপত্রিকায় লেখালেখির পাশাপাশি সরাসরি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন সহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন বানিয়াচং তুষার স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। ২০১৮ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে বানিয়াচং উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগীর সম্মাননা লাভ করেন।
সোহেল বানিয়াচং উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও বানিয়াচং হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ব্যক্তিজীবনে এক সন্তানের জনক। তার স্ত্রী শিউলি আক্তার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সোহেল একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। গ্রামীণফোন কোম্পানির নিজ এলাকার ডিলার ছিলেন। ছয় মাস আগে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে চলে আসেন।