প্রাণঘাতী মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে মিশিগানে বিরাজ করছে জরুরী অবস্থা । আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত মিশিগানে প্রতিবছর কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী মিলিত হন ঈদের জামাতে । তবে করোনাকালীন এই সময়ে মিশিগানিবাসী সাক্ষী হতে যাচ্ছে এক ভিন্নধর্মী ঈদের ।
আজ ২৪ মে রোববার মিশিগানে পালিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। কিন্তু রাজ্যের ডেট্রয়েট সিটির জায়ান পার্ক, হ্যামট্রামিক সিটির কিওয়োর্থ স্টেডিয়াম এবং ওয়ারেন সিটির হলমির্চ পার্কে এবার ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব ও রাজ্যের বিধি নিষেধের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবার কিছু মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য মসজিদ-উন-নুর, আল ইসলাহ মসজিদ, আল ইহসান মসজিদ, দারুল উলুম মিশিগান, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, নাইন মাইল দারুল কোরআন মসজিদ সহ আরো কয়েকটি মসজিদ ।
সূত্র বলেছে,বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে সংশ্লিষ্ট মসজিদ পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিগণ।
ওয়ারেনের সিডি.আর মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা নেছার উদ্দিন আহমদ বাংলা সংবাদকে বলেন ” কমিউনিটির সবার কাছে আমার অনুরোধ, যারা বিভিন্ন মসজিদে নামাজে যাবেন দয়া করে মাস্ক, গ্লাভস ও মসল্লা নিয়ে যাবেন । সেই সাথে সামাজিক দুরত্ব ৬ ফিট বজায় রাখবেন । ”
আরেকজন মসজিদ ইমাম বাংলা সংবাদকে বলেন ” আমরা রাজ্যের বিধি নিষেধ মেনে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করবো। তবে এ ক্ষেত্রে মুসল্লিদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য । তারা যদি রাজ্যের বিধি নিষেধ না মানেন তাহলে আমরা মসজিদ কমিটি খুব ই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়বো ।”
এদিকে মিশিগানের বেশীরভাগ মসজিদে ঈদের জামাত হচ্ছে না । এ প্রসঙ্গে মসজিদ আল-ফালাহ ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল লতিফ আজম বাংলা সংবাদকে বলেন “এবার মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এবং দেশটির স্বাস্থ্য বিধি মেনে এম.এম.সি.সি অন্তর্ভুক্ত সবকটি মসজিদে ঈদের জামাত বাতিল করেছেন মুসলিম নেতারা। আল ফালাহ মসজিদে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮ টা সাড়ে ৯ টা ও সকাল সাড়ে ১০টা এই তিন সময়ে ঈদের স্পেশাল খুতবা দেওয়া হবে । তবে ঈদের নামাজের কোন ব্যবস্থা থাকবে না ।“
রাজ্যের বেশ কয়েকজন পুরোনো বাংলাদেশী বাসিন্দা জানান, ডেট্রয়েট, হ্যামট্রামিক, ওয়ারেন, স্টারলিং হাইটস ও ট্রয় সিটিতে প্রায় ২০-২৫ টি মসজিদ রয়েছে। তবে ডেট্রয়েট, হ্যামট্রামিক ও ওয়ারেন এই তিন সিটিতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী মুসলমানেরা বসবাস করেন। এছাড়া অন্যান্য সিটিতেও মসজিদ রয়েছে।