সহায়তার টাকা এসেছে কিনা জানাতে ডেকে বিধবাকে ধর্ষণের চেষ্টা


নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার টাকা এসেছে কিনা জানানোর জন্য এক বিধবাকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে গ্রাম পুলিশ সদস্য। এ সময় বিধবার চিৎকারে গ্রামবাসী গিয়ে গ্রাম পুলিশ হযরত আলীকে আটক করে। কিন্তু ‘গ্রাম পুলিশ আইনের লোক, তাকে ছেড়ে না দিলে বিপদে পড়বে’ ইউপি চেয়ারম্যানের এমন হুমকির প্রেক্ষিতে গ্রামবাসী বাধ্য হয়ে হযরত আলীকে ছেড়ে দেয়।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে বিক্ষুদ্ধ লোকজন মিছিল করেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নগর ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিধবা ওই নারী জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ২ হাজার ৫শ টাকা মোবাইল ফোনে এসেছে কিনা তা জানতে বাড়ির পাশেই গ্রাম পুলিশ হযরত আলীকে ফোন দেন তিনি। এ সময় হযরত আলী মোবাইল ফোন নিয়ে তার বাড়িতে যেতে বলে। তিনি ওই বাড়িতে গেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় হযরত আলী।

স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার পর গ্রাম পুলিশ হযরত আলীকে স্থানীয়রা আটকে রাখে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু ফোন দিয়ে জানান গ্রাম পুলিশ একজন আইনের লোক, তাকে দ্রুত ছেড়ে দিতে হবে। অন্যথায় যারা আটকে রেখেছে তারা বিপদে পড়বে। ইউপি চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে স্থানীয়রা হযরত আলীকে ছেড়ে দেন। অতঃপর হযরত আলীকে এলাকায় আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু বলেন, নির্যাতিতা বিধবা তার কাছে এসেছিল। তাকে থানায় গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানা পুলিশ যেভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেবে তিনি তাতে সম্মত রয়েছেন।

বড়াইগ্রাম সার্কেলের এএসপি হারুন-অর-রশিদ জানান, ওই বিধবা নারী থানায় অভিযোগ করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *