পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে কারফিউ ভেঙ্গে বের হয়ে এসেছেন বিক্ষোভকারীরা। এদিকে ডেট্রয়েটে প্রথমদিকে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ চললেও পরবর্তীতে তা ব্যাপক সহিংস রূপ ধারণ করে। প্রশাসন বাধ্য হয় কারফিউ জারি করতে, গ্রেপ্তার হয় বহু বিক্ষোভকারী। তবে প্রায় এক সপ্তাহ পরে বুধবার রাতের বেলা প্রথম কোন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখল ডেট্রয়েটবাসী’ যেখানে কোন ধরনের গ্রেপ্তার এবং টিকিট দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। তবে সর্বশেষ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছিল সোমবার যেখানে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে পড়ে। কারফিউ ভাঙার জন্য অবশ্য ৪০ টিকিট ইস্যু করা হয়।
এর আগে ডেট্রয়েট পুলিশ চিফ জেমস ক্রেগ কারফিউয়ের সময় রাত ৮ টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে। তবে কারফিউ ভেঙে প্রায় সাড়ে ৮ টার দিকে বিক্ষোভকারীরা শহরের পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার পর পুলিশ চিফ ক্রেগ একটি পুলিশ ভ্যান থেকে নেমে এসে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের জন্য কোন ধরনের শক্তি প্রয়োগ করবেন না বলে জানান। কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় সোচ্চার বিক্ষোভকারীরা এটিকে তাদের ‘বিজয়’ হিসেবে মনে করছেন।
একদিনে সর্বোচ্চ গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখল নগরীর বাসিন্দারা। ডেট্রয়েট পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ১২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ১২৭ জনের মধ্যে ৪৭ জন ডেট্রয়েট শহর থেকে, ছয়জন মিশিগানের বাইরের ছিলেন – প্রত্যেকে কলম্বিয়া জেলা, ম্যাসাচুসেটস এবং ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এবং তিনজন নিউ ইয়র্ক থেকে এসেছিলেন। তবে বেশিরভাগই মেট্রো ডেট্রয়েটেের বাসিন্দা। সূত্রঃ ডেট্রয়েট ফ্রী প্রেস।