করোনামুক্ত হলো ফিজি, মারা যাননি একজনও


করোনায় আক্রান্ত শেষ রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়ার পর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র ফিজিকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার দেশটির সরকার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের এই সফলতার ঘোষণা দিয়েছে।

ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মার্চের মাঝের দিকে যখন ফিজিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন, তখন দেশটির ৯ লাখ ৩০ হাজার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু দেশটির সরকার কঠোর আইসোলেশন এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধ করতে সক্ষম হয়। যে কারণে দেশটিতে মাত্র ১৮ জন মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হন।

ফিজির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামা দেশ করোনামুক্ত হওয়ার পেছনে প্রার্থনা, কঠোর পরিশ্রম এবং বৈজ্ঞানিক নিশ্চিতকরণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন। এক টুইটে তিনি বলেন, ফিজি আজ আমাদের সর্বশেষ কোভিড-১৯ রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামা বলেন, আমাদের পরীক্ষার সংখ্যার দিনে দিনে বাড়ানো হলেও সর্বশেষ রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন প্রায় ৪৫ দিন আগে। এখন পর্যন্ত একজনও এই ভাইরাসে মারা যাননি। এছাড়া আমাদের কোভিড-১৯ রোগী সুস্থ হওয়ার হার ১০০ শতাংশ।

ডায়াবেটিস, হৃদরোগের প্রচুর রোগী এবং দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও অবকাঠামোর কারণে দেশটিতে এই ভাইরাসের মারাত্মক প্রকোপের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এছাড়া ভৌগোলিক দিক থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে আইসোলেশন সমস্যায় সংক্রমণের হটস্পটে পরিণত হওয়ারও শঙ্কা ছিল। যদিও সব শঙ্কা উড়িয়ে শুক্রবার দেশটিকে করোনামুক্ত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামা।

ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশও করোনা আতঙ্কের কারণে একেবারে শুরুর দিকেই তাদের সীমান্ত অতি দ্রুত বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয়, পর্যটক নিষিদ্ধের মতো ব্যয়বহুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পর্যটনের জন্য জনপ্রিয় এসব দেশ।

এমন সিদ্ধান্তের ফলে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র পালাও, টোঙ্গা, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, ভানুয়াতু, কুক আইল্যান্ড এবং মাইক্রোনেশিয়াতে এখন পর্যন্ত একজন করোনা রোগীও পাওয়া যায়নি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *