জলাবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো নিজেদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হওয়ার জন্য ২০০৯ সালে গঠন করে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম বা (সিভিএফ)। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪৮টি দেশ সিভিএফের সদস্য। ২০০৯ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে জলবায়ু সম্মেলনে (কপ ১৫) প্রথম আবির্ভাব ঘটে সিভিএফের। গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিভিএফের সভাপতি নির্বাচিত হন।
আগামী দুই বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সিভিএফের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। সিভিএফের সভাপতিকে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু আগামী দুই বছর সিভিএফের সভাপতি থাকবেন, আবুল কালাম আজাদও দুই বছরের জন্য বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করবেন।
গত ৬ জুন আবুল কালাম আজাদকে জাতিসংঘের সিভিএফের বিশেষ দূত হিসেবে সিভিএফ ম্যানেজিং পার্টনার, গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন বোর্ড সভাপতি বান কি মুন এবং সিভিএফের সভাপতি শেখ হাসিনা যৌথভাবে এই নিয়োগ দেন।
জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে প্রতিনিয়ত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। যদিও বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়। বাংলাদেশের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি উন্নত বিশ্বের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহযোগিতা করতে যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা পূরণ করতে কাজ করবেন তিনি।