মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গভর্ণর গ্রিচেন হুইটমার গত ১৮ জুনএক ঘোষণায় রাজ্যের জরুরি অবস্থা আগামী ১৬ জুলাইপর্যন্ত বাড়িয়েছেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধেজরুরি অবস্থা আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১০ মার্চ থেকে রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে।গভর্ণর বলেন, আমরা করোনাভাইরাস রোধে যে পদক্ষেপনিয়েছি তা খুবই কার্যকর হয়েছে। দ্বিতীয় তরঙ্গ (second wave) প্রতিরোধে আরো অনেক কিছু করার দরকার।
সামাজিক দূরত্ব বজায় এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।মিশিগানবাসীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও লক ডাউন খুব কার্যকর হওয়ায়করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা ধীরেধীরে কমে আসছে।
একটি বৃটিশ গবেষণায় বলা হয়েছে, মিশিগানে স্টে হোমআদেশ, রাজ্যে জরুরি অবস্থা, মাস্ক ব্যবহার করা ওসামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় মিশিগানে কয়েক হাজারমানুষ করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু থেকে বেঁচেছেন। লন্ডনেরইম্পিরেয়েল কলেজ ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদলগবেষক গবেষণা করে এ তথ্য জানিয়েছেন। গবেষকেরাজানিয়েছেন, স্টে হোম আদেশটি সবচেয়ে বেশী কার্যকরহয়েছে মিশিগানে।
মিশিগানের এক ফেডারেল জাজ ১৯ জুন এক রায়েবলেছেন যে, আগামী ২৫ জুন মিশিগানের ইনডোরজিমগুলি খুলতে পারে। এদিকে মিশিগানের গভর্ণর গ্রিচেনহুইটমারের এক নির্বাহী আদেশে মিশিগানের ইনডোরজিমগুলো বন্ধ রয়েছে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে।
রাজ্যের কালামাজুর ফেডারেল জাজ পল মেলোনিকয়েকজন বাদীর করা মামলায় যারা গভর্ণরের জরুরিআদেশের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে ও জিমগুলো খুলে দেয়ার দাবী জানিয়েছিলেন তাদের মামলার রায়ে এ আদেশদেন।
গভর্ণর হুইটমারের একজন মুখপাত্র টিফনি ব্রাউন ১৯জুন বলেছেন,গভর্ণর শ্রদ্ধার সাথে বলেছেন যে তিনি এসিদ্ধান্তের সাথে একমত নন এবং ইউ, এস ডিষ্ট্রিক্ট জাজপল মেলোনির জারি করা প্রাথমিক আদেশের বিরুদ্ধেআপীল আবেদন করবেন।