গত তিনমাসে একজন গভর্ণর কিভাবে সারা আমেরিকায় ঘরে ঘরে একজন পরিচিত মানুষ হয়ে উঠলেন তার এক বিশদ বিবরণ ছাপিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
মিশিগানের গভর্ণর গ্রিচেন হুইটমার কিভাবে একটি ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট, অর্থনৈতিক সংকট বিভিন্ন প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও কাটিয়ে উঠে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় আসলেন তার এক ধারা বিবরণী যেন এই প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে তার প্রকাশ্য বিদ্রোহ, করোনা মহামারী নিয়ে তার পরিকল্পনা, প্রতিক্রিয়া প্রচারে মিডিয়া কভারেজ, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের সাথে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে সম্ভাব্য প্রার্থী।
স্বাক্ষাৎকারে হুইটমার বলেন, করোনা মহামারীর জন্য রাজ্য চরম স্বাস্থ্য সংকটের জন্য অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে, হঠাৎ করে বাধ ভে্ঙ্গে ভয়াবহ বন্যা, ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা ছাড়াও ব্ল্যাক আমেরিকানদের সাম্প্রতিক হত্যার ঘটনা। প্রতিবেদক হুইটমারকে এমন একজন নেতা হিসাবে চিত্রিত করেছেন যিনি ফেডারেল সরকারের সহায়তা ছাড়াই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন এবং কার্যকর করেছিলেন।
হুইটমার ফেডারেল সরকারকে জাতীয় স্টকপাইল থেকে মিশিগানকে মাস্ক সরবরাহের কথা বলেছিলেন কিন্তু ট্রাম্প তা প্রত্যাখান করেন। হুইটমারের বিভিন্ন পদক্ষেপ যেমন জরুরি আদেশ, স্টে হোম আদেশ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে, এ নিয়ে মিছিল, বিক্ষোভ, মামলা মোকাদ্দমা হয়েছে কিন্তু তার বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে। তার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মুখে মাস্ক পরা, স্টে হোম আদেশ অনেক জীবন বাঁচিয়েছে।
একটি বৃটিশ গবেষণায় বলা হয়েছে, মিশিগানে স্টে হোম আদেশ, রাজ্যে জরুরি অবস্থা, মাস্ক ব্যবহার করা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় মিশিগানে কয়েক হাজার মানুষ করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু থেকে বেঁচেছেন। লন্ডনের ইম্পিরেয়েল কলেজ ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক গবেষণা করে এ তথ্য জানিয়েছেন। গবেষকেরা জানিয়েছেন, স্টে হোম আদেশটি সবচেয়ে বেশী কার্যকর হয়েছে মিশিগানে।
তার এই সাহসী পদক্ষেপ এবং এগিয়ে চলা সারা আমেরিকায় এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।