মিশিগানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজ্যের গভর্ণর গ্রিচেন হুইটমার ১০ জুলাই একটি নতুন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যাতে ঘরের ভিতর বা বাইরে যেখানে মানুষ সমাগম হয় সেখানে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। তাছাড়া য়েখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে না সেখানেও অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
তবে কিছুলোক এর আওতামুক্ত থাকবেন, যেমন যাদের বয়স ৫ বছরের নীচে, মেডিক্যালি যারা মুখে মাস্ক পরতে অসুবিধা হয় এবং খাদ্য পরিসেবা প্রতিষ্টানে বসে খাওয়া দাওয়া এবং পান করেন। আগামী ১৩ জুলাই থেকে রাজ্যে এ আইন কার্যকর হবে। ইচ্ছাকৃত কেউ এ আদেশ অমান্য করলে তাকে ফৌজদারি শাস্তি সাপেক্ষে ৫০০ ডলার জরিমানা দিতে হবে।
গত ৯ জুলাই সাংবাদিক সন্মেলনে গভর্ণর তেমনটিই আভাস দিয়েছিলেন। এই আদেশে যদি কোন ব্যক্তি মাস্ক ছাড়া কোন প্রতিষ্টানে, ব্যবসা, গ্রোসারীতে বা অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্টানে প্রবেশ করেন এবং মাস্ক পরতে অস্বীকার করেন তবে সেই প্রতিষ্টান তাকে পরিসেবা প্রত্যাখান করতে পারবে। হুইটমার আরো বলেন, মাস্ক ব্যবহার করলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ কম থাকে।
গত ২৪ ঘন্টায় মিশিগানে করোনায় ৬১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১৫ জন, আগের দিন অর্থাৎ ৯ জুলাই এখানে ৪৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং সংক্রমিত হয়ে ৯ জন মারা যান। মিশিগানে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা যান ৬ হাজার ৩৯ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ২৯৫ জন।মিশিগান স্বাস্থ্য ও মানব সেবা বিভাগ সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মিশিগানের চিফ মেডিক্যাল এক্সিকিউটিভ ও মিশিগান স্বাস্থ্য ও মানব সেবা বিভাগের চিফ ডেপুটি ডাইরেক্টর ডা: জে. এস খালডুন জানান, রাজ্যের করোনা সংক্রমণের ডেটা আশাব্যঞ্জক নয়। তিনি বলেন, পরিস্থিতি আগের মত ততটা চরম নয় তবে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে ট্র্যাকের দিকে ফিরে যেতে হবে।
করোনার কারণে মৃত্যুর খবর ও হাসপাতালে ভর্তির হার তুলনামূলক কম রয়েছে তবে আগামী সপ্তাহগুলোতে তা পরিবর্তন হতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা গত ৯ জুলাই সতর্ক করেছেন। হেনরি ফোর্ড হেলথ সিষ্টেমের প্রেসিডেন্ট ও সিইও রাইট লেসিটার বলেন, আত্মতৃপ্ত হওয়ার সময় এখনো আসেনি, আমাদের আরো কঠিন লড়াই করতে হবে। মিশিগানে গত এক সপ্তাহে অর্থাৎ ৪ জুলাই যে সপ্তাহ শেষ হয়েছে সে সপ্তাহে ২ হাজার ৫০০ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।