মিশিগানে বিপদজ্জনক হারে করোনাভাইরাস সংক্রমণেরজন্য রাজ্যের গভর্ণর গ্রিচেন হুইটমার ১৫ জুলাই একসাংবাদিক সন্মেলনে বলেছেন, করোনা সংক্রমণ যদিবাড়তে থাকে তবে রাজ্যের অর্থনীতির যেসব সেক্টরইতিমধ্যে খুলে দেয়া হয়েছিল তার কিছু অংশ আবার বন্ধকরে দেয়া হবে। সংবাদ সন্মেলনে মাস্ক পরার বিষয়টিআলোচনায় আসলে তিনি জোর দিয়ে বলেন, মিশিগানবাসী যদি করোনার প্রকোপ থেকে মুক্ত থাকতেচান তবে রাজ্যের মাস্ক নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।তিনি আরো বলেন, করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ ধ্বংসাত্মক হতেপারে। রাজ্যের পূর্ব ল্যান্সিং, রয়েল ওক ও রামুলাসেরবারগুলো থেকে করোনা সংক্রমণের পর ইনডোর বারপরিসেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য এসব বার থেকেযাদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে তাদেরঅধিকাংশের বয়স ছিল ২০ থেকে ২৯ বছর। মিশিগানরাজ্যের প্রধান মেডিক্যাল নির্বাহী ডা: জে. খালদুনবলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মিশিগানবাসী একহুমকির মধ্যে পড়েছেন গভর্ণর হুইটমার মানুষের জীবনবাঁচাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তিনি আরোবলেন, এখন যাদের বয়স ২০ থেকে ২৯ এর মধ্যে তাদেরমধ্য সংক্রমণ হচ্ছে বেশী।
গভর্ণর হুইটমার সংবাদ সন্মেলনে আরো বলেন, মিশিগানবাসী যদি মাস্ক ব্যবহার না করেন তবে করোনাসংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে হাজার হাজারমানুষ কর্মরত গাড়ীর কারখানাসহ অন্যান্য ব্যবসা বাণিজ্যবন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে। যার উপর মিশিগানেরঅর্থনীতি নির্ভর করছে।করোনা সংক্রমণের জন্য দীর্ঘদিনবন্ধ থাকার পর মিশিগানের গাড়ী কোম্পানীগুলো গত ১১মে থেকে উৎপাদন শুরু করেছিল।
মিশিগানে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯১জন যা গত দুই মাসের মধ্যে অর্থাৎ মে মাসের ১৪ তারিখেরপর একদিনে সর্ব্বোচ্চ সংক্রমণ। আর গত ২৪ ঘন্টায়সংক্রমিত হয়ে মারা যান ৪ জন। আগের দিন অর্থাৎ ১৪জুলাই করোনায় সংক্রমিত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং৫৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মিশিগানে এ পর্যন্ত করোনায়সংক্রমিত হয়ে মারা যান ৬ হাজার ৮৫ জন এবং আক্রান্তহন ৭১ হাজার ১৯৭ জন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা তাদের সীমান্তে অপ্রয়োজনীয়যাতায়াত বন্ধ রাখার চুক্তিটি আগামী ২১ আগষ্ট পর্যন্তবাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানা গেছে। কানাডারপ্রধানমন্ত্রী জাষ্টিন ট্রুডো এ সপ্তাহে বলেছেন, সীমানা নিয়েএকটি সিদ্ধান্ত আগামী দিনে ঘোষণা করা হবে। তিনিবলেন, কানাডাবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে ও অর্থনীতিকেচালু রাখতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
এখানে উল্লেখ্য বর্তমানে কানাডা ও আমেরিকার সীমান্তেএকমাত্র জরুরি পরিবহন ও জরুরি সেবার সাথে সংশ্লিষ্টরাসীমান্ত পারাপার করতে পারেন। অপ্রয়োজনীয় যাতায়াতবন্ধ রয়েছে।