আগামীকাল মঙ্গলবার থেকেই রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি লেকে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষ্যে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পশুর হাট নিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য শর্তাবলী প্রতিপালনে ডিএসসিসি কঠোরতা দেখাবে জানিয়ে এ সময় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৮টি সংসদীয় আসনের কথা বিবেচনা করে আমরা ১১টি জায়গায় ১১টি পশুর হাট ইজারা দিয়েছি।
এ সকল হাট সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সোমবার ইজারাদারদের নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে ইজারাদারদেরকে আমাদের শর্তাবলী যাতে কঠোরভাবে পালন করা হয় সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই, সে সকল শর্তাবলী প্রতিপালন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে আমরা হাটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। কেউ ইজারার শর্ত ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরো বলেন, আমরা গণমাধ্যমের সুবাদে দেখছি যে, অনেকেই ইতিমধ্যে ইজারায় বরাদ্দকৃত জায়গার বাইরে আবাসিক এলাকায়ও গরুর হাট বিস্তৃত করছে যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই আমরা আগামীকাল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। ইজারায় বরাদ্দকৃত জায়গার বাইরে কোনো ইজারাদার পশুর হাট বসাতে পারবে না।
যত্রতত্র পশুর হাট বসার সুযোগ রাখা হয়নি জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র আরো বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আমরা অবৈধ কোন পশুর হাটের সুযোগ রাখি নাই। কঠোরভাবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে ডিএসসিসি মেয়র আরো বলেন, এরই মাঝে ঢাকা শহরের দশটি পুকুর-খাল-জলাশয় নিয়ে একটি প্রকল্প আমরা সাজাচ্ছি। শিগিগরই এই প্রকল্প জমা দেওয়া হবে। আমি বিশ্বাস করি পর্যায়ক্রমে ঢাকাবাসীকে আমরা অন্যান্য সমস্যার সুরাহা দেওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে জলাবদ্ধতা সমস্যারও সমাধান করতে সমর্থ হব।
এ সময় ১২০ কেজি রুই (১০৮০টি পোনা), ৬০ কেজি কাতলা (৩০০টি), ১০৫ কেজি মৃগেল ১০৫ (১০৫০টি পোনা), ১৫ কেজি কালিবাউসসহ (১৫০টি পোনা) মোট ৩০০ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, ১৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর শিরিন গাফফার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।