লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫ হাজারেরও বেশি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে অনেকে এটাকে হিরোশিমার পারমাণবিক বোমা হামলার সঙ্গে তুলনা করেছেন। বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতির বহু ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে।
সে রকমই একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের ফটোশুট করছিলেন এক কনে। সে সময়ই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল চারপাশ। ক্যামেরাও গেল সরে। তার পর শুট বন্ধ করেই নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে লাগলেন ওই কনে ও ফটোগ্রাফাররা।
লেবানিজ ওই কনের নাম ইসরা সেবলানি। ২৯ বছরের ওই তরুণী আমেরিকায় চিকিৎসক হিসাবে কাজ করেন। বিয়ের জন্য সপ্তাহ তিনেক আগে বৈরুতে এসেছেন তিনি। তার হবু স্বামী আহমদ সুবেই বৈরুতের এক জন ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার মধ্য বৈরুতের সাইফি স্কয়ারের কাছে ওয়েডিং ফটোশুট করেছিলেন সেবলানি। তা চলতে চলতেই ঘটে বিস্ফোরণ। সেই ঘটনা ক্যামেরাম্যান মাহমুদ নাকিবের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ফোটোশুট চলতে চলতে হঠাৎ বিকট আওয়াজ হল। কেঁপে উঠল চারপাশ। সেবলানির উপর থেকে ক্যামেরার ফোকাসও সরে গেল। আশপাশে যে সব বাড়ি ঘর ছিল, তার জানলার কাঁচ গুড়িয়ে ঝনঝন করে ভেঙে পড়ল। সেবলানির দুধসাদা গাউনও তখন এলেমেলো হয়ে গেছে। সেই সময় হতভম্ব হয়ে পড়া সেবলানি সহ বাকিরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করেছেন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে সে দিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সেবলানি। বলেছেন, ‘দু’সপ্তাহ ধরে আমি আমার বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। বিয়ের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই খুশি ছিলাম। কিন্তু ফটোশুটের সময় যা ঘটল তা আমি বলে বোঝাতে পারব না। আমি ভীত হয়ে পড়েছিলাম। মরে যাব না তো?’ বিস্ফোরণের ভয়াবহতা থেকে তিনি যে এখনো বেরোতে পারেননি, সে কথাও ওই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
সূত্র : আনন্দবাজার।