ইমাম মাহাদী দাবীকারী সৌদি প্রবাসী মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলা হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটনের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ থেকে এ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
বিভ্রান্তমূলক অপপ্রচার এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার দায়ে ইমাম মাহাদী দাবিকারী সৌদি প্রবাসী মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের বিরুদ্ধে আজ শনিবার রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে তিনি এসব কার্যক্রম চালাচ্ছেন। সেটা দেশে থেকে নাকি দেশের বাইরে থেকে সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’ তবে একটি সূত্রের দাবি তিনি দেশেই আছেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
পুলিশ জানায়, নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবিকারী মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান দীর্ঘদিন ধরে ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ইসলাম ধর্মের অপব্যাখামূলক, মনগড়া ও ভিত্তিহীন বক্তব্য অডিও ভিডিও আকারে ইউটিউব চ্যানেল ‘‘তাকওয়া অনলাইন টিভি”সহ অন্যান্য ইউটিউব চ্যানেল এবং ‘‘মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান” নামের ফেসবুক আইডি থেকে প্রচার করে আসছিল। এতে দেখা যায় যে, তিনি নিজেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর বংশধর হিসেবে দাবি করেন এবং স্বপ্নযোগে ইমাম মাহদী হিসেবে ঘোষিত হবার বার্তা প্রাপ্ত হন।
ইমাম মাহাদীর পরিচয় ধারণ করে এ ধরনের অসত্য, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও তথ্য উপাত্ত প্রদানের ফলে দেশের ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়াসহ ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এ ব্যক্তির প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবি করে তার কাছে কথিত ‘‘বায়াত” গ্রহণের জন্য বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি আহবান জানায়।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে তার এ ধরনের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ থেকে তার কাছে কথিত ‘‘বায়াত” গ্রহণ করে ইমাম মাহাদীর সৈনিক হিসেবে কথিত জিহাদে অংশ নেওয়ার জন্য সৌদি আরব যাওয়ার আগে গত ৪ মে ১৭ জন এবং ৭ মে দুজনসহ মোট ১৯ জন পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয়। তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে রমনা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।