দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা কোনো ডাকাতির উদ্দেশ্যে করা হয়নি বলে মন্তব্য মন্তব্য করেছেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। তিনি বলেন, এটি কোন ডাকাতির ঘটনা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা চেষ্টা। এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক বলেন, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ওয়াহিদা খানম যোগদানের পর থেকে অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি বলেন, দুস্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুততম সময়ে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। যাতে এরকম ঘটনা কোথাও কেউ আর না ঘটাতে পারে।
দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। ওই হামলায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবাও গুরুতর আহত হন।
ইউএনও ওয়াহিদা খানম নিজের সরকারি বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। বুধবার দিবাগত রাত ২টার পর দুর্বৃত্তরা তার বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি জাতীয় কিছু একটা দিয়ে ইউএনও এবং তার বাবার ওপর হামলা চালায়। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয়।
আহত ওয়াহিদা খানমকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে এয়ার অ্যাস্বুলেন্সে করে ঢাকার আনা হয়। ওয়াহিদার বাবাকে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওয়াহিদার বাবা নওগাঁ থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। তার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।